যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালালো ৪ হাজার আর্মেনীয় সেনা!

বিতর্কিত নাগরানো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ টানা নবম দিনে গড়িয়েছে। আজারি সেনাদের চতুর্মুখী আক্রমণের মুখে টিকতে না পেরে পিছু হটছে আর্মেনীয় বাহিনী। এমতাবস্থায় যুদ্ধক্ষেত্র থেকে কমপক্ষে চার হাজার আর্মেনীয় সেনা জীবন বাঁচাতে পালিয়েছে।

আজারবাইজান সেনাদের হাতে আটক আর্মেনীয় সেনারা -ফাইল ছবি

এমন দাবি করে আজারবাইজান জানিয়েছে, এসব সৈন্য দখলকৃত নাগরানো-কারাবাখে মোতায়েন করেছিল আর্মেনিয়া। এ বিষয়ে আর্মেনিয়ার কোনো মন্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি।

আজারি গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালানো সেনাদের গুলি করার আদেশ দিয়েছেন আর্মেনীয় এক কমান্ডার। এছাড়া পলাতক কয়েকজন সেনা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

এর আগে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের বৈদেশিক নীতি বিভাগের প্রধান হিকমেত হাজিয়েভ দাবি করেন, আজারি সেনাদের হামলায় কারাবাখের মিলিশিয়া বাহিনীর প্রধান আরায়িক হার্টিউয়ানিয়ান গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। জীবন বাঁচাতে পালিয়ে বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি, সেখানেও হামলা করা হয়েছে।

প্রতিবেশি এ দুই দেশের যুদ্ধ দ্বিতীয় সপ্তাহে এসে গতকাল সোমবার নাগরানো-কারাবাখের বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে। আজারবাইজানের জনবহুল একাধিক শহরে আর্মেনীয় বাহিনী হামলা করলে অভিযান আরো তীব্র করে আজারিরা। তারা কারাবাখের রাজধানী স্টেপানকার্ট শহরে হামলা চালিয়েছে, এটি দখলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে জানা গেছে।

আার্মেনীয় সেনাদের টহল -ফাইল ছবি

এরইমধ্যে আর্মেনীয়দের দখলে থাকা কারাবাখের মাদাগিজ শহরসহ সাতটি এলাকা মুক্ত এবং একটি সেনাঘাঁটি ধ্বংস করেছে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী। এখন পর্যন্ত সেখানকার ২২টি বসতি মুক্ত করা হয়েছে বলে গতকাল সোমবার জানিয়েছে তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ যুদ্ধ অষ্টম দিনে গড়িয়েছে। জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানালেও তাতে কাজ হচ্ছে না। এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত উভয় পক্ষের আড়াইশ’র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরো কয়েক শ মানুষ। হতাহতদের অধিকাংশই আর্মেনীয় সেনা, বেসামরিক নাগরিক রয়েছে ৩৫ জনের মতো।

বিপুল সংখ্যক সেনা, সমরাস্ত্র ও ভূখণ্ড হারিয়ে যুদ্ধ বিরতিতে রাজি হয়েছে আর্মেনিয়া। এর জবাবে আজারবাইজান জানিয়েছে, আর্মেনীয়রা নাগরানো-কারাবাখ অঞ্চল না ছাড়া পর্যন্ত তারা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।