চীনের ‘বিরুদ্ধে’ জার্মানির প্রস্তাব, বিভক্ত জাতিসংঘ

জাতিসংঘে চীন ও জার্মানির বিরোধ তুঙ্গে উঠেছে। প্রথমে বেইজিংয়ের কড়া সমালোচনা করে বার্লিন। এর জবাবে বার্লিনকে পাল্টা আক্রমণ করে বেইজিং। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে কার্যত দুই ব্লকে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সংস্থাটির সদস্য রাষ্ট্রগুলো।

চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল

ডয়চে ভেলের খবরে বলা হয়, এক ব্লকে জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ৩৯টি দেশ। অন্য ব্লকে চীন, কিউবা, পাকিস্তানসহ কয়েকটি আফ্রিকা ও আরব দেশ। উভয় ব্লকের মধ্যে জাতিসংঘে তীব্র বাদানুবাদ হয়েছে চীনকে নিয়ে।

চীনের প্রতি তীব্র অসন্তোষ জানিয়ে গত মঙ্গলবার জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব তোলে জার্মানি। এতে চীনে নাগরিকের অধিকার হরণ, জিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলিমদের দমন-পীড়ন, তিব্বতে আগ্রাসন, হংকংয়ে আধিপত্যসহ বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এসবের পেছনে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের একরোখা নীতিকে দায়ী করে জার্মানি।

জার্মানির এ প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছে বিশ্বের ৩৯টি দেশ। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অধিকাংশ দেশ রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে চীনের বিরুদ্ধে শক্তিশালী ও গুরুত্বপূর্ণ এতগুলো দেশ একজোট হওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম।

জাতিসংঘের পতাকা

এতে জাতিসংঘে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে চীন। দেশটির প্রতিনিধি বলেন, প্রস্তাবে জার্মানি যেসব অভিযোগ করেছে তা একেবারেই ভিত্তিহীন। এসব অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে চীন কারো কাছে জবাবদিহিতা করবে না। বেইজিংয়ের এ অবস্থান সমর্থন করে পাকিস্তান, কিউবা ছাড়াও একাধিক আরব ও আফ্রিকার দেশ।

প্রস্তাবে থাকা বিষয়গুলো নিয়ে চীনকে প্রায়ই আক্রমণ করে আসছে জার্মানি। এর অংশ হিসেবে কয়েক দিন আগে ইইউর এক বৈঠকে দেশটির প্রেসিডেন্ট শির সামনে বিষয়গুলো তুলেছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল।

বলা হচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে উইঘুর মুসলিম, হংকং ও তাইওয়ান পরিস্থিতি নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে রয়েছে চীন। এসব ইস্যুতে দেশটির একরোখা নীতির সমালোচনা করছে বিভিন্ন দেশ। কিছু দিন আগে তাইওয়ান দিবস উপলক্ষে ভারতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রচার করে তাইওয়ান সরকার। এ ছাড়াও সম্প্রতি ভারতের সীমান্ত সংঘাতে জড়িয়েছে চীন।