আপনি পড়ছেন

সম্প্রতি প্রকাশিত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) 'ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক' শীর্ষক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২০ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হারের হিসেবে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে। সেই হিসাবে চলতি অর্থবছরে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ।

bangladesh india flag 1

একই সময়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হবে মাইনাস ১০ দশমিক ৩ শতাংশ। এর পরই থাকবে পাকিস্তান। দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াবে মাইনাস শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। এ ছাড়া শ্রীলংকার মাইনাস ৪ দশমিক ৬ শতাংশ, ভুটানের দশমিক ৬ শতাংশ, মালদ্বীপের মাইনাস ৮ দশমিক ৬ শতাংশ, আফগানিস্তানের মাইনাস ৫ শতাংশ এবং নেপালের শূন্য শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াবে।

পাশাপাশি প্রতিবেদনে পূর্ভাবাস দিয়ে এটাও বলা হয়েছে যে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের গড় উৎপাদন প্রবৃদ্ধি ভারতকে ছাড়িয়ে যাবে। এমন খবর প্রকাশের পর পরই ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোতে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়েছে। প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ায় ভারতীয় নাগরিকদের মনে জন্ম দিয়েছে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ।

আইএমএফের তথ্যমতে, বাংলাদেশের গড় মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৮৮৮ মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে এবং ভারতের হবে ১ হাজার ৮৭৭ ডলার। খুব বেশি ব্যবধান না থাকলেও বিরোধী রাজনীতিকরা এ থেকে আলোচনার রসদ পেয়ে গেছেন। এতে করে সাধারণ মানুষেরও ক্ষোভের মুখে পড়েছে নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপি-এনডিএ সরকার।

gdp logo

তবে বিষয়টিকে কৌশলগত ও কূটনৈতিক দিক দিয়ে সুযোগ হিসেবে দেখছেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের কলাম লেখক ও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ সি রাজা মোহন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের অর্থনৈতিক স্থবিরতা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আঞ্চলিক রাজনীতির কৌশলগত পরিবর্তন নিয়ে পাঁচটি পয়েন্ট তুলে ধরেছেন।

এক. ঢাকার দ্রুত এবং ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি উপমহাদেশ নিয়ে বিশ্ব রাজনীতির মানসিক মানচিত্রে আমূল পরিবর্তন আসবে বলে মনে করি। এতদিন দক্ষিণ এশিয়া মানেই ছিল ভারত ও পাকিস্তান। কিন্তু বাংলাদেশের উত্থান এখন অনেকটাই পরিবর্তন এনেছে।

দুই. পাকিস্তানের চেয়ে বড় অর্থনীতি হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। এ কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ঢাকার ওজন বাড়ছে নিঃসন্দেহে। এক দশক আগে পাকিস্তানের অর্থনীতি ৬ হাজার কোটি ডলার বেশি থাকলেও বর্তমানে একই ব্যবধানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। ভবিষ্যতে এ অবস্থা পরিবর্তনের সুযোগ কম। বাংলাদেশ জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী হয়েছে এবং মুদ্রাস্ফীতির ওপরও নিয়ন্ত্রণ আছে। কিন্তু পাকিস্তানের কোনোটিই নেই।

তিন. বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির নতুন ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়েছে। এক্ষেত্রে নয়াদিল্লি বাংলাদেশ, ভুটান এবং নেপালকে নিয়ে একটি জোট গঠন করতে পারে। একটু কৌশলী হলে বাড়াতে পারে আঞ্চলিক বাণিজ্য সহযোগিতা।

চার. বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সফলতা চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং সিঙ্গাপুরের মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র আগে ভারত-পাকিস্তানের দিকে বেশি মনোযোগ দিলেও এখন বাংলাদেশে নিজেদের স্বার্থের নতুন সম্ভাবনা দেখছে। এতে করে বাংলাদেশে চীনের প্রভাব মোকাবেলায় ভারত সাহায্য পেতে পারে।

পাঁচ. ঢাকা-দিল্লি বাণিজ্যিক সম্পর্কের মাধ্যমে উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নে নিজ জাতীয় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারবে ভারত। বাংলাদেশের অর্থনীতি পশ্চিমবঙ্গের চাইতে বড় হওয়ায় এ দুয়ের ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততা মজবুত করা গেলে পূর্ব ভারতে অনেক উন্নয়ন করা সম্ভব। বিশেষ করে স্থলভাগ বেষ্টিত রাজ্যগুলো সুফল পাবে।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.