আপনি পড়ছেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র সপ্তাহখানেক বাকি। এর মধ্যেই দেশটির সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিজের পছন্দের অ্যামি কোনি ব্যারেটকে নিয়োগ দিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মার্কিন সিনেটে ৫২-৪৮ ভোটে জিতে নিয়োগ পেলেন ব্যারট। দেশটির ইতিহাসে নজিরবিহীন এ ঘটনাকে ট্রাম্পের জন্য রাজনৈতিক জয় হিসেবেই দেখা হচ্ছে। তবে এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ডেমোক্র্যাটরা।

donald trump 19ডোনাল্ড ট্রাম্প -ফাইল ছবি

সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির পদটি ফাঁকা হলে রক্ষণশীল হিসেবে পরিচিত ব্যারটকে মনোনীত করেন ট্রাম্প। এরপর গত শনিবার আসন্ন নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ট্রাম্পকে হটাতে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বড় ধরনের বিক্ষোভ করেন হাজার হাজার নারীরা। দেশটির রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিসহ অন্তত ৫০টি বড় শহরে এ বিক্ষোভ হয়।

এ ঘটনাকে নজিরবিহীন বলে বর্ণনা করে মার্কিন গণমাধ্যমগুলো। বলা হয়, এর আগে ২০১৭ সালে ট্রাম্প শপথ নেয়ার পর তার বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনে প্রথমবারের মতো বড় ধরনের ‘ওমেন্স মার্চ’ হয়েছিল। তা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই নারীরা এবারও রাস্তায় নেমে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান।

বিক্ষোভ থেকে মার্কিন নারী প্রগতির আইকন হিসেবে পরিচিত গত ১৮ সেপ্টেম্বর মারা যাওয়া দেশটির সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রুথ ব্যাডার গিন্সবার্গের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। তার স্থলে রক্ষণশীল এমি কোনি ব্যারেটকে মানতে পারছেন না নারীরা ছাড়াও আরো অনেকে।

amy cone barrettঅ্যামি কোনি ব্যারেট

নিয়ম অনুযায়ী, গতকাল সোমবার রাতে সিনেট জুডিশিয়ারি কমিটিতে ব্যারেটের নিয়োগের ওপর ভোটাভোটি হয়। ট্রাম্পের প্রার্থীর বিরুদ্ধে তার রিপাবলিকান দলের এক সিনেটর ব্যারটের বিরুদ্ধে ভোট দেয়ায় ৫২-৪৮ ভোটে জিতে নিয়োগ পান তিনি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগের সংবিধান অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে নিয়োগে পেতে হলে ব্যারেটকে ৬০টি ভোট পেতে হতো। কিন্তু সম্প্রতি সংবিধান সংশোধন করে ট্রাম্প প্রশাসন সে নিয়ম বাদ দিলে সুযোগ পেয়ে যান ব্যারেট। গতরাতেই ব্যারেটের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হলেও মূলত সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে তিনি শপথ নেন আজ মঙ্গলবার।

গতকাল রাতে ব্যারেটের শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ট্রাম্প বলেন, এর মধ্যমে প্রমাণ হলো- যুক্তরাষ্ট্রে এখনো নিরপেক্ষ আইনের শাসন রয়েছে। অন্যদিকে ব্যারেটকে মনোনয়ন দেয়ার ঘোর বিরোধী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেনের ডেমোক্রেটরা ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। তারা বলছেন, ট্রাম্পের স্থানে এবার নতুন প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব নিতে পারেন। নতুন বিচারপতি মনোনয়ন বিদায়ী প্রেসিডেন্টের হাতে থাকা উচিত নয়।

joe biden dnc conventionজো বাইডেন

অবশ্য এর আগে একইভাবে ২০১৬ সালের নির্বাচনের ৬ মাস আগে মেরিক গারল্যান্ডকে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মনোনয়ন দিলে আপত্তি তোলেন রিপাবলিকানরা। তারাও আজকের ডেমোক্রাটদের মতোই একই সুরে কথা বলেছিলেন তখন।

বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, অনেকে ধারণা করেছিলেন, এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগ দিতে পারবেন না ট্রাম্প। তবে বাস্তবে ঘটেছে তার ঠিক উল্টোটা। এটিকে ভোটের আগে ট্রাম্পের বড় জয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর ফলে দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের ৯ সদস্যের বেঞ্চে ৬ জনই রক্ষনশীল বিচারপতি হলেন। এই সংখ্যা আগামী দিনে রায়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.