দুদকের মামলায় খালাস ইশরাক

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। আজ সোমবার ঢাকার ৪ নং বিশেষ জজ আদালত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ইশরাককে খালাস দেন বিচারক শেখ নাজমুল আলম।

রায় ঘোষণার পর আদালত প্রাঙ্গণে ইশরাক হোসেন (মাঝে)

মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন ও তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের সম্পদের বিবরণী জানতে চেয়ে নোটিশ জারি করে দুদক। এর তিন দিন পর ৪ সেপ্টেম্বর জারিকৃত নোটিশটি নিয়ে ইশরাকের বাসভবনে যান দুদকের একজন কনস্টেবল। কিন্তু ওই সময় বাসায় উপস্থিত ছিলেন না ইশরাক। তাই চার জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে ইশরাকের বাসভবনের নিচতলার প্রবেশ পথের দেয়ালে স্কচটেপ দিয়ে নোটিশটি ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।

দুদকের নোটিশটিতে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদের বিবরণী জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু ইশরাক তা জমা দেননি। এ ঘটনায় ২০১০ সালের ২৯ আগস্ট ইশরাকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক সামছুল আলম।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)- ফাইল ছবি

মামলা দায়েরের দীর্ঘ ৮ বছর পর ২০১৮ সালের ৬ ডিসেম্বর ইশরাকের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন। পরে ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি আদালত এ মামলার অভিযোগ গঠন করলে ইশরাকের বিরদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।

তখন থেকে এ মামলায় বিভিন্ন সময়ে মোট ৬ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। পরে আজ সোমবার ঢাকার ৪ নং বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম মামলার রায় ঘোষণা করেন এবং ইশরাককে খালাস দেন।

রায়ের বিষয়ে ইশরাক বলেন, বিচার বিভাগ ও প্রশাসনে এখনো ন্যায়-পরায়ন মানুষ আছে। তাই রাজনৈতিক প্রভােবের অপচেষ্টা করেও সরকার সফল হয়নি। আদালতের বিচারক আজকের রায় দিয়ে তার সৎ সাহস দেখিয়েছেন।