সিডিসি: বাংলাদেশের ভ্যাকসিন পেতে বহু দেরি

শিগগিরই কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বাজারে আসবে। তবে এখনই বাংলাদেশের মানুষ সেগুলো পাবে না। অপেক্ষা করতে হতে পারে আরো দীর্ঘ সময়। এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মাইকেল ফ্রিডম্যান।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মাইকেল ফ্রিডম্যান

এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ভ্যাকসিন উৎপাদনের সীমাবদ্ধতার জন্য বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য অংশের বিপুল সংখ্যক মানুষ এখনই তা পাবেন না। সেটার জন্য তাদের প্রত্যাশার চেয়েও আরো কিছু বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করতে হবে।

ভ্যাকসিন উৎপাদন একটি পর্যায়ে নিয়ে যেতে কিছুটা সময় লাগবে জানিয়ে ডা. মাইকেল ফ্রিডম্যান বলেন, বিশাল সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে ভ্যাকসিন পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে। এটি খানিকটা দুর্ভাগ্যজনক। তবুও এটাই বিশ্বের বাস্তবতা।

'পুরো বিশ্বেই বর্তমানে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন আগ্রহের বিষয় হয়ে উঠছে। ভাইরাসটি প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত তিনটি ভ্যাকসিনের খুব ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে। এটি বিশ্বের জন্য ভালো সংবাদ। তবে প্রথম ছয় মাস পর্যাপ্ত ডোজ পেতে কিছুটা সময় লাগবে। সক্ষমতা উন্নয়নে সময় লাগার কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য।'

বর্তমান বিশ্বের জনসংখ্যা প্রায় ৭৮০ কোটি এবং সে জন্য বিশ্বব্যাপী ১৫০০ কোটিরও বেশি ভ্যাকসিন প্রয়োজন জানিয়ে তিনি বলেন, সম্ভাবনাময় ভ্যাকসিনগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা বিবেচনা করলে দেখা যায়, প্রথম ছয় মাসে মাত্র ৭ শতাংশ মানুষ এটা পাবে। যা বাংলাদেশের জন্য সত্যিকার অর্থেই একটি চ্যালেঞ্জ। এক্ষেত্রে খুব বাস্তববাদী হতে হবে।

মার্কিন এই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলেন, প্রাথমিকভাবে উৎপাদিত ভ্যাকসিনের অধিকাংশই যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় উন্নত দেশগুলোতে চলে যাবে। কারণ তারা আগে থেকেই অর্থলগ্নি করে রেখেছে। ফলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সে সব দেশেই আগে ভ্যাকসিন পাঠাবে প্রস্তুতকারী সংস্থা ও কোম্পানিগুলো।