সৌদি: আগে স্বাধীন ফিলিস্তিন, তারপর সম্পর্ক

সম্প্রতি দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন। এ নিয়ে মুসলিম বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। তবে এ প্রসঙ্গে অনেকটা চুপ ছিলো প্রভাবশালী আরব রাষ্ট্র সৌদি আরব। এ ছাড়া কিছুদিন আগে ইসরায়েলের জন্য আকাশপথ উন্মুক্ত করে দিয়েছে দেশটি। সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উঠেছে, সৌদি আরবও কি আমিরাত ও বাহরাইনের পথে হাঁটছে?

সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান

এখানেই শেষ নয়, অতি সম্প্রতি সৌদি যুবরাজের সঙ্গে অত্যন্ত গোপনে দেখা করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তাতে করে ‘ইসরায়েল-সৌদি আরব’ সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জনের আরো অনেক ডালপালা গজিয়েছে। সবমিলিয়ে এটা এখন মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন- দখলদার ইহুদি রাষ্ট্রটির সঙ্গে সম্পর্ক গড়বে সৌদি? উত্তরে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিলেন, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের আগে ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে শর্ত একটাই, যেটা আমরা আগেও বারবার বলে আসছি। তা হলো- একটা স্বাধীন সর্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন এবং সেটা হতে হবে ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী। এই শর্ত পূরণ হলেই কেবল সম্পর্কের বিষয়টি বিবেচনা করা হতে পারে।

ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে এক যুবক

ফয়সাল বিন ফারহান আরো বলেন, আমরা মনে করি, মধ্যপ্রাচ্যের এই সঙ্কট ততদিন পর্যন্ত থাকবে যতদিন পর্যন্ত দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হবে না। সৌদি আরবই প্রথমে দুটি আলাদা রাষ্ট্রের প্রস্তাব সামনে এনেছিলো ১৯৮২ সালে। এখনো আমরা সেই একই অবস্থানে আছি।