‘হেফাজতের হাতে ইসলামকে ছাড়া যাবে না’

হক্কানি আলেম সমাজের ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়েছে, ইসলামের হেফাজতকারী হয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে ভাস্কর্যের বিরোধিতা করছে হেফাজতে ইসলাম। তাদের হাতে ইসলামকে ছেড়ে দেয়া যাবে না।

হক্কানি আলেম সমাজের সংবাদ সম্মেলন

ধর্মান্ধতা, উগ্রবাদ, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এর আয়োজন করা হয়। এ সময় হেফাজতের সাবেক আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে সংগঠনটি হেফাজত করার বদলে লাঞ্ছনা করে কবরে পৌঁছে দিয়েছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়।

ভাস্কর্যের সাংস্কৃতিক, ধার্মিক ও রাজনৈতিক দিক আছে মন্তব্য করে একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আব্দুল হাকিম চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ছোট বাচ্চাদের দেয়া পুতুল ভাস্কর্যের অংশ বিশেষ। ঘরে টানানো প্রিয়জনদের ছবি ভাস্কর্যের অংশ। তবে ভাস্কর্য নিয়ে হেফাজতের বক্তব্য রাজনৈতিক।

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের লোগো

ভাস্কর্য যে জায়েজ, তা বলছি না উল্লেখ করে আব্দুল হাকিম চৌধুরী বলেন, এ নিয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করাও ইসলাম সমর্থন করে না। স্বীকৃতির জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যাকে আমরা কওমি জননী বলেছি। সন্তান ও জননীর সম্পর্ক মধুর হওয়ার কথা। রাস্তায় দাঁড়িয়ে জননীর বিরুদ্ধে আন্দোলন ঠিক নয়, যা করছে হেফাজত।

‘মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের নিয়ে গুটিকয়েক আলেম হুংকার দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, জাতির জনককে অপমানজনক কথা বলা আমরা মানতে পারি না। বঙ্গবন্ধু মুসলমান ছিলেন, আমরাও মুসলমান। ইসলাম অনুযায়ী বললে শালীনভাবে বলতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে মো. ইলিয়াস ইব্রাহিম বিক্রমপুরী বলেন, জিয়ার ভাস্কর্য আছে, তা কেউ ভাঙার কথা বলেনি, বাধাও দেয়নি। হঠাৎ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে সমাজে ফেতনা- ফাসাদ তৈরির চেষ্টা চলছে। ভাস্কর্য বিরোধী ফতোয়া দেয়া ব্যক্তিরাই মুক্তিযোদ্ধাদের বিধর্মী ও কাফের বলেছিল। ভাস্কর্যের মতো ছবি ও ইংরেজি শিক্ষাও হারাম বলা হয়েছিল।