‘ধর্মনিরপেক্ষতা নয়, ইসলাম ছিল স্বাধীনতার ভিত্তি’

ইসলামকে মুক্তিযুদ্ধের বিপরীতে দাঁড় করিয়ে একদল ভূঁইফোড় জনগোষ্ঠী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।

মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম

আজ বুধবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বরিশাল মহনগরীর ফজলুল হক অ্যাভিনিউয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ অভিযোগ করেন।

মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, রক্ত সাগর পাড়ি দিয়ে আমরা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। অথচ সেই স্বাধীনতা আজও স্বপ্নই রয়ে গেলো। সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। স্বাধীনতার প্রকৃত অর্থ খুঁজে পেতে হলে রাষ্ট্রক্ষমতায় ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করার বিকল্প নেই।

যারা মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের কথা বলছেন তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ নয়, বরং ইসলামই ছিল ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতার মূল ভিত্তি। এটা তাদের জানা উচিত।

বুধবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বরিশাল মহনগরীর ফজলুল হক অ্যাভিনিউয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত সমাবেশ

এ দেশের ৯২ ভাগ মুসলমানের ধর্ম ইসলাম উল্লেখ করে এই আলেম বলেন, অথচ ইসলামকে মুক্তিযুদ্ধের বিপরীতে দাঁড় করিয়ে একদল ভূঁইফোড় জনগোষ্ঠী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তারা বলছে, আলেম সমাজ এবং মুসলমানরা নাকি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী। কিন্তু বাস্তবিক ঘটনা সম্পূর্ণ বিপরীত।

'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মসূত্রে একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান। তিনি তার মূলকে ধারণ করে প্রত্যেকটি বক্তব্য-বিবৃতিতে ইসলামের অবস্থান জানান দিয়েছিলেন। এমনকি ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণেও তিনি ইনশাআল্লাহ শব্দ উচ্চারণ করেছিলেন। তার সেই ধ্বনিতে উজ্জীবিত হয়ে এ দেশের মুসলমানরা স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এবং এ ভূখণ্ডকে স্বাধীন করে। তাই মুসলমানদের বাদ দিয়ে স্বাধীনতার ইতিহাস কল্পনাও করা যায় না।'

যারা ইসলামকে বিকৃত করার লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী রাজাকারদের পরিচয় তুলে ধরতে ইসলামের সিম্বলগুলো ব্যবহার করেন, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা সতর্ক হোন এবং নিজেদের রাজাকার তকমা ঢেকে রাখতে ইসলামকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করবেন না। অন্যথায় এর ফলাফল শুভ হবে না বলে দিচ্ছি।