মানব উন্নয়ন সূচকে ৬০ শতাংশ এগিয়েছে বাংলাদেশ

গত ৩০ বছরে অর্থাৎ ১৯৯০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ ৬০ দশমিক ৪ ভাগ এগিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে এ তথ্য তুলে ধরে সংস্থাটি।

মানব উন্নয়ন সমীক্ষা-২০২০: ‘দ্য নেক্সট ফ্রন্টিয়ার: হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড এনথ্রোপোসিন’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে দেখা যায়, ২০১৯ সালে বাংলাদেশের সূচকের মান মধ্যম আয়ের দেশগুলোর গড় মানের চেয়ে বেশি ছিল এবং বিশ্বের মানব উন্নয়ন সূচকে আরো দুই ধাপ এগিয়েছে। বর্তমানে এ তালিকায় ১৩৩তম স্থানে অবস্থান করছে বাংলাদেশ।

'আর দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে পঞ্চম। এ ছাড়া পরিবেশের প্রভাবজনিত সমন্বিত মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের আরো ৯ ধাপ অগ্রগতি হয়েছে।'

সেখানে আরো বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ের করোনা মহামারি সবচেয়ে বড় সংকট হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এমতাবস্থায় পরিবেশের ওপর মানুষের ক্রমাগত অভিঘাত বন্ধ না হলে ভবিষ্যতেও মানবজাতিকে আরো সংকটের মুখোমুখি হতে হবে।

ইউএনডিপির প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ১৯৯০ থেকে ২০১৯ সাল নাগাত বাংলাদেশ সবদিক দিয়েই এগিয়েছে। এর মধ্যে মানুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু বেড়েছে ১৪ দশমিক ৪ বছর, গড় শিক্ষাকাল বেড়েছে ৩ দশমিক ৪ বছর এবং প্রত্যাশিত শিক্ষাকাল বেড়েছে ৬ বছর। এ ছাড়া মাথাপিছু আয়ের পরিমাণও বেড়েছে। এ হার শতকরা ২২০ দশমিক ১ ভাগ।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, প্রকৃতি হলো মায়ের মতো। আর সেটিকে খেয়েই আমরা মানবজাতি বেড়ে উঠছি। এখন করোনা মহামারি এসে আমাদের বুঝিয়ে দিলো যে, প্রকৃতিকেও রক্ষা করতে হবে এবং সেদিকে আমরা নজর ঘুরাচ্ছি।

ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদিপ্ত মুখার্জি বলেন, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত সাত হাজারের বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন। পাশাপাশি অতিমারি জনিত সামগ্রিক প্রভাব আরো অনেক বিস্তৃত ও প্রকট। অসংখ্য পরিবার জীবিকা হারিয়ে দারিদ্র সীমার নিচে নেমে গেছে। এ ছাড়া আয় অসমতা, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা বেড়েছে। দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থী লেখাপড়া থেকে ঝড়ে যেতে পারে। সেই শঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।