দ্বন্দ্ব নিরসনে উপসাগরীয় দেশগুলোর চুক্তি স্বাক্ষর

উপসাগরীয় নেতারা সৌদি আরবের আল-উলাতে জিসিসির (উপসাগরীয় সহযোগিতা কাউন্সিল) ৪১তম শীর্ষ সম্মেলনে কাতারের সঙ্গে তাদের তিন বছরের কূটনৈতিক দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাতে ‘সংহতি ও স্থিতিশীলতা’ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।

‘সংহতি ও স্থিতিশীলতা’ চুক্তিতে স্বাক্ষর

আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এ বৈঠকে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কাছ থেকে এ ঘোষণা আসে।

বৈঠক সংশ্লিষ্ট এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই প্রচেষ্টা আমাদের চুক্তিতে স্বাক্ষরিত হতে সহায়তা করেছে। যেখানে আমরা আমাদের উপসাগর, আরব এবং ইসলামি সংহতি ও স্থিতিশীলতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। এক্ষেত্রে মধ্যস্থতার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কুয়েতকে বিশেষ ধন্যবাদ।

আমাদের অঞ্চলকে উন্নীত করা এবং চারপাশে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলার জন্য, বিশেষত ইরানের পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এবং নাশকতা ও ধ্বংসের পরিকল্পনাগুলোর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সবার ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে, বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

৪১তম জিসিসি শীর্ষ সম্মেলন

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ছয় সদস্যের উপসাগরীয় সহযোগিতা কাউন্সিলের নেতারা আল-উলা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন। এই শীর্ষ সম্মেলনটি সৌদি নগরীর নামানুসারে এবং চূড়ান্ত আলাপচারিতায় অনুষ্ঠিত হয়।

তাদের আলোচনার বিষয়বস্তু এখনো প্রকাশ পায়নি। তবে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী ইস্যু সত্ত্বেও সৌদি যখন দোহার সীমান্ত উন্মুক্ত করবে বলে ঘোষণা দিচ্ছিল, তখনই এই অচলাবস্থার সমাপ্তির জন্য একটি চুক্তির আশা প্রকাশ করা হয়েছিল।

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান

এই উন্নয়ন কূটনৈতিক সঙ্কট অবসানের এক যুগান্তকারী চিহ্ন হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা ২০১৭ সালের জুন থেকে কাতারকে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং মিশরের অবরোধের মুখোমুখি করেছে।

সে সময় কাতারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করা এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে এই চার দেশ দোহার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। একই সাথে স্থল, সমুদ্র ও বিমান পথে অবরোধ আরোপ করে।

কাতারের আমির তামিম আল-থানি

অন্যদিকে, কাতার তুরস্কের সমর্থন নিয়ে ধারাবাহিকভাবে এই অভিযোগগুলো প্রত্যাখ্যান করেছে। পাশাপাশি সংঘাতের অবসান ঘটাতে সংলাপের জন্য বারবার তৎপরতা দেখিয়েছে।