ট্যাঙ্কার আটক: তেহরানে কোরিয়ার প্রতিনিধি দল

পারস্য উপসাগরে ইরানের ইসলামিক রেভ্যলুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) নেভির হাতে দক্ষিণ কোরিয়ার পতাকাবাহী ‘এমটি হানুকুক চেমি’ নামের একটি ট্যাঙ্কার আটক হওয়ার ঘটনায় তেহরানে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে সিউল। আজ বৃহস্পতিবার তাদের সেখানে পাঠানো হয়।

তেহরানের পথে কোরিয়ার প্রতিনিধি দল

তথ্যটি নিশ্চিত করে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তেহরানে পাঠানো সরকারি প্রতিনিধি দলটি ইরান কর্তৃক আটককৃত দক্ষিণ কোরিয়ার তেলবাহী ট্যাঙ্কার মুক্ত করার চেষ্টা করবে।

আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দক্ষিণ কোরিয়ার পরিচালক কোহ কিং-সোক সাংবাদিকদের বলেন, আমরা প্রতিনিধি দলটিকে সত্যতা যাচাই করার জন্য এবং যথাযথ প্রমাণ বা ডেটা বিনিময় করতে বলেছি।

সেখানে ইরানি অংশীদারদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি কোরিয়ার কূটনীতিকরা ইস্যুটি সমাধানের জন্য ইরানের অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গেও আলোচনা করবেন, যোগ করেন তিনি।

সিউলের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা এই সংকটের জন্য কূটনৈতিক সমাধান চাইছেন।

ইরানের হাতে আটক দক্ষিণ কোরিয়ার পতাকাবাহী ট্যাঙ্কার ‘এমটি হানুকুক চেমি’

ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ৭ হাজার ২০০ টন ইথানল বহনকারী জাহাজটি পরিবেশগত প্রোটোকল লঙ্ঘন করেছে। যদিও জাহাজটির মালিক এ দাবি অস্বীকার করেছেন।

সেটির জবাবে সিউল বলছে, পরিবেশগত দূষণ সম্পর্কে ইরানের দাবি, জাহাজটি আন্তর্জাতিক বা আঞ্চলিক সীমানায় চলাচল করছিল কি না কিংবা আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে আটক করা হয়েছিল কি না, সে বিষয়ে তারা তদন্ত করছে।

এর আগে সোমবার ট্যাঙ্কারটি আটক করে বন্দর আব্বাসের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এটিতে ৭ হাজার ২০০ টন ইথানল বহন করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।

এক বিবৃতিতে আইআরজিসির নৌ শাখা জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার তেল ট্যাঙ্কারটি সোমবার সকালে ইরানের সমুদ্রসীমায় ঢুকে পড়ে। এ সময় নৌবাহিনী পরিবেশ প্রোটোকল লঙ্ঘনের কারণে সেটিকে থামায়।

ট্যাঙ্কারটি দক্ষিণ কোরিয়া থেকে যাত্রা শুরু করে সৌদি আরব হয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরাহ যাচ্ছিল। সামুদ্রিক পরিবেশ দূষণ করাতেই এটিকে আটক করা হয়েছে।