ইন্দোনেশিয়ার “নিখোঁজ” বিমানে কারা ছিলেন

ইন্দোনেশিয়ার শ্রীবিজয়া এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট, #SJ182, গতকাল রাজধানী জাকার্তা থেকে উড়ে যাওয়ার মাত্র চার মিনিটের মধ্যেই রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত সুনিশ্চিত হওয়া যায়নি যে বিমানটির ভাগ্যে আসলে কী ঘটেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে।

এই বিমানে সাতজন ছোট বাচ্চা ও তিনজন শিশুসহ মোট ৫০জন যাত্রী ছিলেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন ১২ জন ক্রু। সব মিলিয়ে ৬২ জন মানুষ নিয়ে বিমানটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়। এদের সবাই ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক।

এরই মধ্যে এমন কিছু জিনিস পাওয়া গেছে, যেগুলোকে বিমানটির ধ্বংসাবশেস বলে ধারনা করা হচ্ছে। এ ছাড়া মানবদেহের বিচ্ছিন্ন অঙ্গও পাওয়া গেছে। অবশ্য আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে এখনই বিমানটির পরিণতি নিয়ে কিছু বলা হয়নি।

ইয়ামান জাই নামের এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, বিমানটিতে তার তিন সন্তান ও স্ত্রী ছিলেন। তিনি কান্নারত অবস্থায় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “তিন সন্তান ও স্ত্রীর ভাগ্যে কী ঘটেছে আমি জানি না। আমার হৃদয় ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে।”

বোয়িং ৭৩৭-৫০০ মডেলের উড়োজাহাজটির নিবন্ধন তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে যে, এটি ২৬ বছরের পুরোনো একটি উড়োজাহাজ।

শ্রীবিজয়া এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিমানটি ভালো অবস্থায় ছিলো। এটি নির্ধারিত সময়ের ৩০ মিনিট পর উড্ডয়ন করে। বিমানবন্দর এলাকায় ভারি বর্ষণের কারণে উড্ডয়ন বিলম্বিত হয়।

২০০৩ সালে শ্রীবিজয়া এয়ারলাইন্স তাদের কার্যক্রম শুরু করে। ইন্দোনেশিয়ার বাইরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে এটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনা করে। স্বল্পমূল্যে ভ্রমণের জন্য শ্রীবিজয়া ইন্দোনেশিয়ায় একটি জনপ্রিয় এয়ারলাইন্স।