ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ২০ শতাংশে উন্নীত করেছে ইরান

ইরান তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ২০ শতাংশে উন্নীত করেছে বলে খবর দিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম। তেহরানের হাতে বর্তমানে ১৭ কিলোগ্রাম ২০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম রয়েছে বলেও জানিয়েছে তাসনিম নিউজ এজেন্সি।

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি, ফাইল ছবি

ইরানের স্পিকার মোহাম্মদ বাগের গালিবাফের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে রাষ্ট্র পরিচালিত বার্তা সংস্থাটি।

তাসনিম নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্পিকার গালিবাফ ফোর্দো পরমাণু প্রকল্প পরিদর্শন শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিতে ফিরে যাওয়ার যে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে, তেহরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ২০ শতাংশে উন্নীত করায় তা জটিল হয়ে উঠবে বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আরব-আমেরিকান গণমাধ্যম আল মনিটর।

ইরানের স্পিকার মোহাম্মদ বাগের গালিবাফ

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ২০ শতাংশে উন্নীতকরণ পরমাণু চুক্তিবিরোধী। ২০১৫ সালে সম্পাদিত ওই চুক্তি অনুযায়ী ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশের বেশি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে পারবে না ইরান। ২০১৮ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে চুক্তি থেকে বেরিয়ে যান এবং তেহরানের বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও এর মধ্যপ্রাচ্যের মিত্র দেশগুলো মনে করে, পরমাণু বোমা বানানোর চেষ্টা করছে ইরান। পরমাণু বোমা বানাতে হলে ৯০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম দরকার। তবে বরাবরই এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে তেহরান।

খবরে আরো বলা হয়েছে, সাধারণত জ্বালানি উৎপাদনের জন্য পারমাণবিক রিঅ্যাক্টর চালাতে ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে হয়। তবে ইউরেনিয়াম ২০ শতাংশ সমৃদ্ধ করার পর তা সহজেই ৯০ শতাংশে উন্নীত করা যায়।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর অ্যান্টনি ব্লিনকেন গত বুধবার বলেন, বাইডেন প্রশাসন পরমাণু চুক্তিতে ফিরে আসবে, যদি ইরান পরমাণু চুক্তি যথাযথভাবে মেনে চলে।

তবে এর জবাবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ জানিয়েছেন, ইরান যথাযথভাবেই চুক্তি মেনে চলছিল, যুক্তরাষ্ট্রই তা থেকে বেরিয়ে গেছে। সুতরাং চুক্তিতে ফিরতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকেই আগে উদ্যোগ নিতে হবে, অর্থাৎ ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে।