তথ্যমন্ত্রী: চ্যাম্পিয়নদের মুখে দুর্নীতির মন্তব্য হাস্যকর

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বিএনপি নেতাদের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছেন, দুর্নীতিতে যারা একের এক চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, তাদের মুখে দুর্নীতি নিয়ে মন্তব্য হাস্যকর।

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ

রাজধানীর শাহবাগে কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে ১৪তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধনে গিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় এ কথা বলেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আমলে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে পর পর পাঁচ বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এর মধ্যে পর পর চার বার এককভাবে এবং এক বার যুগ্মভাবে দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় দেশ। সুতরাং তাদের মুখে দুর্নীতি নিয়ে মন্তব্য হাস্যকর।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি লক্ষীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শহিদ ইসলাম পাপলু কুয়েতের একটি আদালতে মানব ও অর্থ পাচারের মামলায় দণ্ডিত হয়েছেন। এর পর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, পাপলুর সাজায় আওয়ামী লীগের দুর্নীতি আজ বিশ্বস্বীকৃত। তার এই বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে উপরোক্ত কথা বলেন ড. হাছান মাহমুদ।

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ

তথ্যমন্ত্রী বলেন, পাপলু একজন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য। সুতরাং তার দুর্নীতির দায় কোনোভাবেই আওয়ামী লীগের ওপর বর্তায় না। কুয়েতের আদালত তাকে সাজা দিয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশেও দুদক তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

শিশু চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজনের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, শিশু-কিশোরদের মেধা, মনন ও দেশপ্রেমবোধে উৎসাহিত করে দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি মমতা জাগ্রত করতে অত্যন্ত সহায়ক এ ধরনের উৎসব।

সম্প্রতি চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে হাজার কোটি টাকার তহবিল ঘোষণা করেছে সরকার। এ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকের মাধ্যমে এই তহবিল থেকে সহজ ঋণ দেওয়া হবে, যা নতুন সিনেমা হল নির্মাণ, পুরনো হল সংস্কার এবং বন্ধ হয়ে যাওয়া সিনেমা হল চালু করার কাজে ব্যবহার করা যাবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী এস এম খালিদ। তিনি বলেন, শিশু-কিশোরদের পরিচালনায় আয়োজিত হচ্ছে শিশু চলচ্চিত্র উৎসবটি। যা অত্যন্ত আনন্দের ও এটি তাদের সৃষ্টিশীলতার নজীর।

প্রসঙ্গত, আগামীকাল রোববার থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮১টি দেশের প্রায় দেড় হাজার চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে। সপ্তাহব্যাপী এ আয়োজনে সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকছে গণগ্রন্থাগার, জাতীয় জাদুঘর ও শিল্পকলা একাডেমির চলচ্চিত্র প্রদর্শনী।