মার্কিন-ইসরায়েলি মহড়ায় মধ্যপ্রাচ্যে উত্তাপ

ইসরায়েলে যে কোনো সময় হামলা চালাতে পারে ইরান। দৃশ্যত, এবার আটঘাট বেঁধে নেমেছে তেহরান। হামলা প্রতিহত করার সব প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছে তেলআবিব। ইরান ভূখণ্ডের দিকে তাক করে রাখা হয়েছে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। সম্ভাব্য ব্যয়বহুল যুদ্ধ সামাল দিতে প্রতিরক্ষা বাজেটে বিপুল অর্থ যোগ হয়েছে।

মার্কিন-ইসরায়েলি মহড়ায় মধ্যপ্রাচ্যে উত্তাপ

তেহরানও তিন দিক থেকে হামলার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছে। তেহরান-তেলআবিবের মধ্যেকার এ পরিস্থিতিতে উত্তেজনার পারদ যখন চড়ছে, তখন মধ্যপ্রাচ্যে উত্তাপ বাড়ানোর কাজে পা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন ও তেলআবিবের যৌথ অংশগ্রহণে শুরু হয়েছে একটি সামরিক মহড়া।

মহড়ার লক্ষ্য যে ইরান, তা অনুশীলনের ধরন দেখে স্পষ্ট। ধরনটা এ রকম যে, বাইরের কোনো দেশ ইসরায়েলে হামলা চালাচ্ছে, তা প্রতিহত করতে পাল্টা পদক্ষেপ নিচ্ছে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা।

তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদুলুর খবরে শুক্রবার বলা হয়েছে, তেলআবিবে হামলার হুবহু অনুকরণে যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন-ইসরায়েলি মহড়ায় মধ্যপ্রাচ্যে উত্তাপ

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আভিচাই আদ্রি টুইটারে বলেছেন, ‘জুনিপার ফ্যালকন’ নামের এ মহড়া পরিচালিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনী ও ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর এয়ার ডিফেন্স ডিভিশনের যৌথ উদ্যোগে। ইউএস ইউরোপিয়ান কমান্ডের নেতৃত্বে এ মহড়ায় অংশ নিচ্ছে মার্কিন সেনাবাহিনী।

খবরে বলা হয়, ২০ বছর ধরে চলা দ্বিবার্ষিক অনুশীলনটি সম্ভবত শেষবারের মতো পরিচালিত হচ্ছে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি ইসরায়েলকে এ কমান্ডের দায়িত্বের ক্ষেত্র থেকে সরিয়ে সেন্ট্রাল কমান্ডের আওতায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আদ্রি বলেন, ইসরায়েল ও জার্মানির বেশ কিছু জায়গায় এ মহড়া পরিচালিত হচ্ছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি এবং বিভিন্ন হুমকি মোকাবেলায় তাদের সক্ষমতা যাচাই করা এ মহড়ার উদ্দেশ্য। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা বাড়ানোর অভিপ্রায় রয়েছে দুই দেশের।

কোভিড-১৯ সংক্রমণ থেকে অংশগ্রহণকারীদের রক্ষা করতে প্রশমন ব্যবস্থার নির্দেশিকা অনুসারে এ মহড়া পরিচালিত হচ্ছে বলে জানায় আনাদুলু।