প্রধানমন্ত্রী: ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান অনেকে বিশ্বাস করতে চান না

ভাষাকে মানুষের পরিচয় হিসেবে অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ''এ পরিচয় মানুষকে সম্মানিত করে এবং আমরা রক্ত দিয়ে সেই সম্মান অর্জন করেছি। এটা আমাদের গৌরবময় অর্জন।''

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আজ রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জাতীয় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ‘মাতৃভাষা পদক ২০২১’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ''ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদের মাধ্যমে ভাষা আন্দোলন শুরু হয়। তখন ঢাবির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তারই উদ্যোগে তমদ্দুন মজলিশসহ কয়েকটি সংগঠন ভাষা সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোলে এবং তিনি এ আন্দোলন করতে গিয়েই কারাবরণ করেন। অথচ ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। এমনকি ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান ছিল যে তা অনেকে বিশ্বাস করতে চান না। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই স্বাধীনতা আন্দোলনের বীজবপন করেছিলেন তিনি।''

তিনি বলেন, ''একটা ভাষা মানুষের পরিচয় এবং এটি আমাদের সম্মান এনে দেয়। এ জন্য আমাদের রক্ত দিতে হয়েছে এবং তা দিয়ে লিখেছি ভাষার অক্ষর। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, মাতৃভাষা আন্দোলনে বাঙালিরাই প্রথম রক্ত দিয়েছে এবং দুনিয়ার কোথাও এ সংগ্রামে গুলি করে মানুষ হত্যার নজির নেই।''

''সত্যিকারার্থেই ভাষার অধিকারের জন্য কেউ এমন রক্ত দেয়নি। এই ভাষার জন্য আমাদের সংগ্রাম করতে হয়েছে এবং সেটির হাত ধরেই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।''

এই গৌরব সংরক্ষণে উদ্যোগ নিয়েছেন জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ভাষার অধিকারসহ বিশ্বের হারিয়ে যাওয়া সকল ভাষা সংরক্ষণ ও গবেষণার জন্য আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট করে দেয়া হয়েছে। এখানে ভাষা জাদুঘর করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের জন্য একটা সম্মানজনক প্রতিষ্ঠান।

ভাষার সংরক্ষণ, বিকাশ ও গবেষণায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অবদানের জন্য পদক দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ''আজ থেকে এ পদক চালু করা হলো। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং ভাষার মাসে গুণীজন ও ভাষার প্রতি সম্মান জানাতে পারলাম। এটা আমাদের সৌভাগ্য।''