বিএনপি সাংসদের ওপর হামলা: ফখরুলের প্রতিক্রিয়া

বগুড়ায় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানিয়ে ফেরার পথে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এ সময় নিজেদের রক্ষায় স্থানীয় সংসদ সদস্য (এমপি) গোলাম মোহাম্মদ সিরাজসহ তারা পুলিশ ফাঁড়িতে আশ্রয় নেন।

বগুড়ায় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিএনপির এমপি সিরাজের ওপর ছাত্রলীগের হামলা

এ ঘটনাকে ‘ন্যক্কারজনক’ আখ্যায়িত করে নিন্দা-প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে বলা হয়, প্রভাত ফেরিতে হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগের দৃষ্টান্ত একমাত্র মাফিয়া রাষ্ট্রেই সম্ভব।

এ ঘটনায় ক্ষমতাসীনরা ‘সন্ত্রাসের ভাবধারায় অনুপ্রাণিত’ তা প্রমাণিত হয়েছে উল্লেখ করে বলা হয়, তৃণমূলে দলকে না গড়ে সন্ত্রাসীদের গ্যাং তৈরি করা হয়েছে। তাদের দিয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়।

গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। সেইসঙ্গে আহতদের সুস্থতা কামনা করা হয়।

বগুড়ায় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিএনপির সাংসদ সিরাজের ওপর ছাত্রলীগের হামলা

আজ রোববার সকাল পৌনে ৯টায় স্থানীয় শহীদ খোকন পার্ক এলাকায় বিএনপির পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানান দলটির নেতাকর্মীরা। এতে নেতৃত্ব দেন বগুড়া-৬ আসনের এমপি ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দলীয় কার্যালয়ে ফেরার পথে জিএম সিরাজকে ‘রাজাকার’ আখ্যা দিয়ে স্লোগান দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে তাকে ধাওয়া করলে পার্শ্ববর্তী পুলিশ ফাঁড়িতে আশ্রয় নেন।

এমপিসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা ভেতরে আসার পর তাদের নিরাপত্তায় ফাঁড়ির প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয় পুলিশ। শতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ফাঁড়ির ফটকের বাইরে বেশ কিছুক্ষণ অবস্থান নিয়ে নানা স্লোগান দিয়ে ফিরে যায়।

বিএনপির দলীয় পতাকা

পরে বিএনপি নেতাকর্মীদের নবাববাড়ি সড়কে দলীয় কার্যালয়ে নিরাপদে পৌঁছে দেয় পুলিশ। অনাকাক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে সেখানে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বগুড়া সদর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই খোরশেদ আলম বলেন, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।

এদিকে, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হানিয়েছেন সাংবাদিক বোরহান উদ্দীন মুজাক্কির। গত ১৯ ফেব্রুয়ারির এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয় একই বিবৃতিতে।

বলা হয়, ভোটারবিহীন আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট ও দখলের পাপের বোঝা অনেক বেশি হওয়ায় আধিপত্য বিস্তার ও হানাহানিতে লিপ্ত হয়ে পড়ছে। নারকীয় এই সংঘর্ষ তারই পৈশাচিক বহিঃপ্রকাশ।