ভারতে করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরন চিহ্নিত

সম্প্রতি ভারতে টেস্টের উদ্দেশ্যে সংগ্রহ করা নমুনায় “ডাবল মিউট্যান্ট” করোনাভাইরাস ধরন পাওয়া গেছে।

এটি হলো একই ভাইরাসের দুটি ধরন মিলে তৈরি হওয়া একটি নতুন ধরন। গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখছেন এই ধরনটি আরো বেশি সংক্রামক ও ভ্যাকসিনে প্রতিরোধঅযোগ্য কি না।

ভারতের ১৮টি রাজ্য থেকে সংগ্রহ করা ১০৭৮৭ নমুনার মধ্যে ৭৭১টি পরিচিত ধরন, ৭৩৬টি যুক্তরাজ্যের ধরন, ৩৪টি দক্ষিণ আফ্রিকার ধরন ও একটি ব্রাজিলিয়ান ধরন পাওয়া গেছে।

ভারতের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধরনগুলো ভারতে সম্প্রতি সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ার সাথে সম্পৃক্ত নয়।

বুধবার ভারতে ৪৭ হাজার নতুন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ২৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ বছরের মধ্যে যা ভারতে এক দিনে সর্বোচ্চ।

ভারতের গবেষকরা জিনোমিক সিকোয়েন্সিংয়ের আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নতুন সংগ্রহ করা নমুনায় ডাবল মিউট্যান্ট করোনাভাইরাস পেয়েছেন।

ভাইরাসের মিউটেশনের প্রবণতা আছে স্বাভাবিক। মিউটেশনের ফলে ভাইরাসের কার্যক্ষমতায় বিশেষ কোনো পরিবর্তন সাধারণত হয় না, কিন্তু কখনো কখনো হয়। যেমন করোনাভাইরাসের যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকার আলাদা দুটি ধরনে সংক্রমণক্ষমতা বেশি।

কখনো কখনো ভাইরাস মিউটেশনের মাধ্যমে আরো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে এবং প্রাণঘাতিও হয়ে উঠতে পারে।

ভাইরাসবিদ শহিদ জামিল বলেন, কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যদি ভারতের মিউটেশন হয়, তাহলে তা ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে এবং শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে উপেক্ষা করতে পারে।

ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিন হলো এমন অংশ যা মানবদেহের সেলে প্রবেশ করে।

ডক্টর জামিল আরো বলেন, ভারতের খুব সম্ভবত ভাইরাসের একেবারে নতুন একটি ধরন গঠিত হচ্ছে। যা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে।