মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান স্মরণ, কৃতজ্ঞতা রাষ্ট্রপতির

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে প্রতিবেশী ভারতের অবদানের কথা স্মরণ করে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আজ শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ

এক কোটি মানুষ ভারতের আশ্রয় নিয়েছিল জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে দেশটি কীভাবে সমর্থন ও সহযোগিতা করেছে, তা আমি প্রত্যক্ষ করেছি। তারা শরণার্থীদের খাবার দিয়েছে, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে এবং মিত্রবাহিনীর অনেক সদস্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছে।

এটি মহানুভবতা ও মানবিকতার ইতিহাসে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে সবসময়। জনগণের পক্ষে ভারতের সরকার ও জনগণকে আবারো ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে জাতির পিতা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছিলেন উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ বলেন, দিনটি আমাদের কাছে খুবই আনন্দের, গর্বের ও সম্মানের।

অনুষ্ঠানে অতিথিরা

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে স্বাধীনতা এসেছে মন্তব্য করেন মো. আব্দুল হামিদ বলেন, স্বাধীনতার সুফল মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে হবে। এ জন্য সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে সবাইকে কাজ করতে হবে। সব ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতা ও নীতি-নৈতিকতার পরিচয় দিতে হবে।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ‌যাপনে ১০ দিনব্যাপী আয়োজনের শেষ দিন ছিল আজ। এদিন বিকেলে ‘মুজিব চিরন্তন’ মঞ্চে সম্মানিত অতিথি হিসেবে হাজির হন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

তাকে অভ্যর্থনা জানান ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর ও অগ্রগতির সুবর্ণরেখা’ অনুষ্ঠানের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা।