লকডাউনে জরিমানা, ইউএনও-কে আটকে দিলো ব্যবসায়ীরা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে দেশব্যাপী চলছে সর্বাত্মক লকডাউন। জরুরি প্রয়োজনে পুলিশের ‘মুভমেন্ট পাস’ ছাড়া বাইরে যাওয়া নিষেধ। একই সঙ্গে ওষুধ ও নিত্যপণ্য ছাড়া দোকান-পাট খোলাও নিষেধ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিনের গাড়ি আটকে দেয় ব্যবসায়ীরা

এমনই অবস্থায় শনিবার স্বর্ণের দোকান খুলেছিলেন এক ব্যবসায়ী। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই ব্যবসায়ীকে জরিমানা করে। এর পরই ইউএনওর গাড়ি ‘আটকে’ দেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায়।

জানা গেছে, পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। জরিমানা করা ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নাম ফেরদৌস আলম। ওই সময় তিনি মাস্কবিহীন ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউএনও সাদিয়া আফরিন বলেন, সরকারের চলমান নির্দেশনা অনুযায়ী করোনার সংক্রমণ ঠেকানোর অংশ হিসেবে শনিবার দুপুরে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় স্থানীয় গাজী প্লাজার সামনে রোজবা নামক জুয়েলার্সের দোকানটি খোলা ছিল।

ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন, ফাইল ছবি

তিনি বলেন, এ সময় দোকানের মালিক মাস্ক না পরেই সেখানে অবস্থান করছিলেন। পরে আইন অনুযায়ী তার দেড় হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় আশপাশের ব্যবসায়ীরা তার গাড়ির সামনে এসে ‘অবস্থান নেন’ এবং জরিমানা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফরিন আরো বলেন, এ সময় এক ব্যক্তি কোদাল নিয়ে তাকে ও তার গাড়ির চালককে মারতে এগিয়ে আসে। পরে পুলিশ আসলে তিনি ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সোনাতলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম রেজা। ইউএনও চলে যাওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় বলেও জানান তিনি।