শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাদের মির্জার যত ‘শর্ত’

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার আলোচিত মেয়র কাদের মির্জা এর আগে ‘হত্যার বদলে হত্যা’র হুমকি দিয়েছিলেন। তবে এবার তিনি রক্তপাত বন্ধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছেন। এক্ষেত্রে কিছু শর্ত দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই কাদের মির্জা।

শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাদের মির্জার যত ‘শর্ত’, ফাইল ছবি 

উপজেলা আওয়ামী লীগের বিবদমান দুই গ্রুপের মধ্যকার দ্বন্দ্ব-সংঘাতকে কেন্দ্র করে যখন উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে তখন এমন প্রস্তাব বা শর্ত দিলেন সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনায় আসা কাদের মির্জা।

আজ বুধবার ভোরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে তিনি এসব প্রস্তাব দেন। সেগুলো হলো-

প্রশাসনের যেসব কর্মকর্তা নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ থেকে তাদের সরিয়ে নিতে হবে এবং অস্ত্রের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।

সিএনজিচালক আলাউদ্দিন এবং সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রশাসনের কাছে যে তথ্য রয়েছে, তার ভিত্তিতে দ্রুত বিচার শুরু করতে হবে। তাদের পরিবার যাতে ন্যায়বিচার পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

নিজের ছেলে মির্জা মাশরুর কাদের তাশিকের ওপর হামলার ঘটনায় যারা জড়িত, সরকার ও প্রশাসনকে তাদের বিচার করতে হবে।

বিগত তিন মাসে বিভিন্ন ঘটনায় যেসব মামলা হয়েছে, সেটা যেই করুক না কেন, এতে অনেককে রাজনৈতিক কারণে জড়ানো হয়েছে। ওই সব মামলায় প্রকৃত অপরাধী যারা, তাদের বিরুদ্ধে সঠিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে প্রশাসন।

কেউ যদি কোনো পুলিশের ওপর আক্রমণ করে থাকে, সেক্ষেত্রে পুলিশ যদি মসজিদে বসে বলে আমাদের এই সদস্য আক্রান্ত হয়েছে তাহলে আমরা যেকোনো ব্যবস্থা মেনে নেব। কিন্তু এখানে অর্থের বিনিময়ে ষড়যন্ত্র করে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে এলাকা ছাড়া হয় বিএনপি-জামায়াত। আবার তারা ক্ষমতায় এলে এলাকা ছাড়া হয় আওয়ামী লীগ এবং হামলা-মামলার শিকার হতে হয়। এ সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে এবং সহাবস্থানের রাজনীতি চালু করতে হবে।

কোম্পানীগঞ্জে আগামীতে যে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাতে যাতে সকল দল অংশ গ্রহণ করতে পারে এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় সেজন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

সরকার ও প্রশাসনকেই কোম্পানীগঞ্জে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অন্যায়, অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। আমি ইতোমধ্যে দল থেকে পদত্যাগ করেছি। এ প্রশ্নে কোনো আপোস নেই এবং ভবিষ্যতে আমি আর কোনো নির্বাচনে অংশ গ্রহণও করবো না।

কাদের মির্জা বলেন, যারা নেপথ্যে থেকে কোম্পানীগঞ্জে গত তিন মাসে অস্থিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, তাদের নাম প্রকাশ করতে হবে। এ ছাড়া পৌরসভা নির্বাচন শেষে শপথ নিতে যাওয়ার পথে আমার ওপর দাগনভূঁঞায় যে হামলা হয়েছে তারও বিচার হতে হবে।