নাছিম: ধর্ম ব্যবসায়ীরা করোনার চেয়েও ভয়ংকর

ধর্ম ব্যবসায়ী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী অপশক্তি যারা, তারা করোনাভাইরাসের চেয়েও ভয়ংকর বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। এরা বাংলাদেশের মানুষের ভালো চায় না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বক্তব্য দিচ্ছেন আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ধর্ম ব্যবসায়ীদের হাত থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করতে হলে এই অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে।

আজ সোমবার বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বালেন্দা গ্রামে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ প্রতিকৃতির ধান কাটা উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, আদর্শিক ও নৈতিক চিন্তা-চেতনার মধ্য দিয়ে এদেশের ধর্ম ব্যবসায়ী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী অপশক্তিকে মোকাবেলা করা হবে। এই ধর্ম ব্যবসায়ীরাই অশুভশক্তি। মুক্তিযুদ্ধের এরাই বিরোধিতা করেছিল এবং ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। সাম্প্রদায়িকতার মূলে থেকে এরাই দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করে এবং দেশের তরুণ সমাজকে বিপদগ্রস্ত করছে। ধর্মকে কাজে লাগিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকেও তারা বাধাগ্রস্ত করছে।

আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, তারা ফায়দা লুটার জন্য কখনো বিএনপি, কখনো জামায়াত, কখনো শিবির আবার এখন হেফাজত ইসলাম নাম নিয়েছে। এই হেফাজতিরা ধর্মকে ব্যবহার করে বিরাজনীতিকরণের মাধ্যমে রাজনৈতিক ফয়দা লুটার চেষ্টা করছে।

‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ প্রতিকৃতির ধান কাটা উৎসব

তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলামের নাম নিয়ে যারা সরকারের বিরোধিতা করছে, তারা ইসলামের হেফাজতকারী নয়। মূলত এরা জামায়াত-বিএনপির হেফাজতকারী। আমাদের লড়াই হচ্ছে এই অপশক্তির বিরুদ্ধে। হেফাজতিরা তারেক রহমানের এজেন্ডা বাস্তবায়ন নিয়ে ব্যস্ত আছে। এ অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেফাজতকে প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই প্রতিক্রিয়াশীল অশক্তির বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। বাংলাদেশকে আমরা এই ধর্মব্যবসায়ীদের হাত থেকে রক্ষা করবো। তারা যে নামেই আসুক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিঘ্ন ঘটাতে দেব না আমরা। আমরা তাদের যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করবো।

ধান কাটা উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, কৃষকলীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ প্রমুখ।