৪ মের পর ‘জোর করে’ গণপরিবহন নামাবেন শ্রমিকরা!

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে লকডাউন চলছে। এর মধ্যেই শপিংমল, হাট-বাজার, দোকান, কারখানা খুলে দেওয়া হলেও বন্ধ আছে গণপরিবহণ। ওদিকে গণপরিবহন খুলে দেওয়ার অনুরোধ করে আসছিলেন শ্রমিকরা। এই দাবিতে আজ রোববার (২ মে) বিক্ষোভও অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৪ মের মধ্যে সরকারের অনুমতি না পাওয়া গেলে ‘জোর করে’ রাস্তায় গাড়ি নামানোর হুমকিও দিয়েছেন তারা।

আজ রোববার (২ মে) চট্টগ্রাম আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ কথা জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ।

চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু বলেন, পরিবহন শ্রমিকদের পক্ষ থেকে আমাদের ওপর খুব চাপ আসছে। সামনে ঈদ, ওদিকে তাদের পেটেও ক্ষুধার জ্বালা। তারা একপ্রকার জোর করেই গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নেমে যেতে চাচ্ছে।

‘কোনো রকমে ৪ তারিখ পর্যন্ত নিবৃত রেখেছি। ৫ তারিখ সকালে তারা আমাদের কথা শুনবে বলে মনে হচ্ছে না।’

মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু আরও বলেন, আমরা মালিকরাও চাই গণপরিবহন চালু হোক। সামনে ঈদ, এভাবে চলতে পারে না। আমরা সরকার ঘোষিত লকডাউনের বিরুদ্ধে নই। কথা ছিল, লকডাউনে হাট-বাজার, দোকান, শপিংমল, শিল্প-কারখানা সব থাকবে। সাথে বন্ধ থাকবে গণপরিবহনও। কিন্তু আমরা দেখতে পেলাম, সবই খুলে দেওয়া হয়েছে শুধু গণপরিবহন ছাড়া।

‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবই যদি চলতে পারে তাহলে গণপরিবহন চলতে সমস্যা কোথায়?’ বলেন মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু।

সংগঠনটির সভাপতি খোরশেদ আলম বলেন, দেশে নানা ধরনের গণপরিবহন মিলিয়ে দিনে প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক নিয়োজিত থাকেন। সামনে একটা ঈদ আসছে। সবার উপার্জনের ব্যবস্থা খুলে দেওয়া হলেও পরিবহন শ্রমিকদের কথা কেউ ভাবছে না। তাছাড়া কয়েক দফা বন্ধ থাকতে থাকতে পরিবহন সেক্টরের অবস্থা এখন শোচনীয়। তাই এখনই তা খুলে দেওয়া উচিত।