ঘরে ঘরে জ্বর, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা

করোনার সর্বোচ্চ সংক্রমণ-মৃত্যুর মধ্যেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু হয়েছে জ্বর-সর্দি। ঘরের কোনো একজন জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর দ্রুতই অন্য সদস্যরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। দুই-তিন দিনে সেই জ্বর সারছে না, থাকছে সপ্তাখানেক। এ নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ছে।

পাবনার ঈশ্বরদীতে এই পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। প্রায় প্রতিটি ঘরেই একজন কিংবা একাধিক সদস্য জ্বরে ভুগছেন। সঙ্গে আছে সর্দি-কাশি। বাড়তি ভয় নিয়ে উপস্থিত হয়েছে শরীর ব্যথা। অন্যান্য সময়ের জ্বরে রোগীরা এই সমস্যা খুব বেশি অনুভব করেননি।

মানুষের মধ্যে বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে- এসব কি কোভিডের লক্ষণ নাকি মৌসুমী জ্বর? উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগও এ ব্যাপারে খুব বেশি কিছু বলতে পারছে না। এত মানুষের করোনা পরীক্ষা যেমন করা সম্ভব হচ্ছে না, তেমনি মানুষের মধ্যেও নমুনা পরীক্ষা করার সেই আগ্রহ নেই।

জ্বর আসলেই রোগীকে আইসোলেশনে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে। তারা বলছে, আমাদের হাতে যে পরিমাণ মানুষের নমুনা পরীক্ষা করার সুযোগ আছে, আমরা ততটুকু করছি। এখানে গণহারে জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটছে। তাই জ্বরটা যে জন্যই আসুক না কেন, আইসোলেশনে চলে গেলে অন্যরা রেহাই পাবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে আরও জানা যায়, ঈশ্বরদীতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মে। তারপর চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৬২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এভাবে ফেব্রুয়ারিতে ৮৪, মার্চে ১০২, এপ্রিলে ৯২, মেতে ৮১ জন শনাক্ত হয়। ভয়ংকর ব্যাপার হলো- গত জুনে উপজেলাটিতে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয় ১ হাজার ২৭ জনকে!