হাসপাতালে আগুন, ইরাকে ১১ নবজাতের মৃত্যু

ইরাকের একটি হাসপাতালে দুর্ঘটনাক্রমে লাগা আগুন থেকে ১১ জন নবজাত শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তাদেরকে একটি বিশেষায়িত ঘরে রাখা হয়েছিলো। আগুন নেভাতে গিয়ে অতিরিক্ত সময় লেগে যাওয়ায় এই প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় ২৯ নারী এবং সাতজন শিশুকে অন্য একটি হাসপাতালে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে সাতজন কিছুটা দগ্ধ হয়েছেন এবং কয়েকজন ধোয়ার কারণে সৃষ্টি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছেন বলে জানা গেছে।

ইরাকে ইলেকট্রিক ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি ও নিম্নমানের জিনিসপত্র ব্যবহার করার কারণে প্রায়ই অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থায়ও ইরাক বেশ পিছিয়ে। ফলে ছোট অগ্নিকাণ্ড থেকেও প্রায়ই বড় ধরনের ক্ষতির খবর শোনা যায়।

এ দিকে এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা দুষছেন প্রশাসনকে। তারা বলছেন, এ ধরনের ঘটনা আগে ঘটলেও সরকারের তাতে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। এ ঘটনায় দায় তারা সরকারের কাঁধেই চাপিয়েছেন।

১১ জন নবজাতের মধ্যে হুসেইন ওমর নামের একজনের যমজ সন্তান ছিলো। তিনি ঘটনার সময় হাসপাতালে ছিলেন না। আসার পর দেখেন যে তার দুই সন্তান বিশেষায়িত ঘরটিতে নেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে মর্গে গিয়ে খোঁজ করতে বলে।

ওমর আন্তর্জাতিক একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমি মর্গে শুধু কিছু ছাইয়ের স্তুপ পাই। আমি আমার সন্তানদের ফিরত চাই। এই ঘটনার জন্য সরকার দায়ী। আমি সরকারের কাছে আমার সন্তানদের ফিরত চাই।’ হুসেইন ওমরের মতো আরো কয়েকজন অভিভাবক এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

আপনি আরো পড়তে পারেন

এরদোগান- পুতিন বৈঠক: এখনই বাণিজ্যে যাবে না দুই দেশ

জাকির নায়েকের প্রতিষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নোটিশ

ফেসবুকে অশালীন পোস্টের শাস্তি ৯০ লাখ টাকা

ভারতের ‘হট কেক’ গো- মূত্র!

সর্বোচ্চ গতির ট্রেন আনছে চীন