চাঁদপুরে ডাকাতিয়ার ভাঙনের মুখে ২৫০ পরিবার

চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদি ইউনিয়নের দুঃখ হয়ে বয়ে যাচ্ছে ডাকাতিয়া নদী। গত এক যুগ ধরে খরস্রোতা নদীটি কেড়ে নিয়েছে এলাকার বেশ বড় একটা অংশ। এই সময়ের মধ্যে দুই শতাধিক পরিবার এলাকা ছেড়ে চলে গেছে। সেই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে বাগাদি ইউনিয়নের ইসলামপুর গাছতলা এলাকার অন্তত ২৫০টি পরিবার আছে ভাঙ্গনের মুখে।

প্রতি বছরই এলাকাটির ২০-৩০টি পরিবার নদীভাঙনের শিকার হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটা আরও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। স্থানীয় বাসিন্দা মো. মানিক কাজী জানিয়েছেন, গাছতলা গ্রামে বর্তমানে জমাদ্দার, খান ও মুন্সি নামে তিনটি গোষ্ঠীর বাড়ি নদীভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এই তিন গোষ্ঠীতে ২৫০টি পরিবারে অন্তত দুই হাজার সদস্য রয়েছে।

এভাবে একের পর এক বসতবাড়ি ডাকাতিয়ায় বিলীন হওয়ার পরও স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এলাকার চেয়ারম্যান-মেম্বারও বারবার এসে পরিদর্শন করে যান, কিন্তু ভাঙন রোধে কোনো উদ্যোগই পরিলক্ষিত হয় না। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ডাকাতিয়া নদী ছোট হওয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ড বিষয়টা গুরুত্বের সঙ্গে দেখেনি।

বাগাদি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. বেলায়েত হোসেন গাজী বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা চাইলে এতদিনে ভাঙন রোধের ব্যবস্থা করতে পারতেন। ২০০৯ সালে এ বিষয়ে আমি অনেক চেষ্টা-তদবির করেছিলাম। এরপর ২০১৯ সাল থেকে আরেক দফা দৌড়ঝাঁপ করছি। এখন আশ্বাস পেয়েছি, আশাকরি, দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম রেফাত জামিল বলেন, আগে ওই এলাকায় ভাঙন খুব একটা মারাত্মক ছিল না বলে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়নি। এবার ভাঙন বৃদ্ধির ফলে বিষয়টি আমলে নেওয়া হয়েছে। গাছতলাসহ মোট ১৪টি স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে, ভাঙনপ্রবণ সেই স্থানগুলো রক্ষা করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে।