খুলছে মার্কেট-দোকানপাট, চলবে গণপরিবহন

করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান সর্বাত্মক লকডাউনের মেয়াদ আরো ৫ দিন বাড়িয়ে আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়েছে। ফলে ১১ আগস্ট থেকে খুলছে সকল প্রকার সরকারি-বেসরকারি অফিস, শপিংমল, দোকানপাট। তবে এক্ষেত্রে টিকা নেয়ার শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি দূরপাল্লার যানসহ সব ধরনের গণপরিবহনও চলবে বলে জানানো হয়েছে।

গণপরিবহন, ফাইল ছবি

আজ মঙ্গলবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তার সভাপতিত্বেই মন্ত্রিপরিষদের সভাকক্ষে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও আইইডিসিআরের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টরা সংযুক্ত ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, ১১ আগস্টের পর টিকা ছাড়া কেউ মুভমেন্ট করলে তাকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। আইন না করলেও অধ্যাদেশ জারি করে এই শাস্তির বিধান করা হবে। টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হবে। কারণ করোনা ঠেকাতে টিকাই শেষ সমাধান। আগামী এক সপ্তাহে ১ কোটি মানুষকে টিকা দেয়া হবে। ওয়ার্ড-ইউনিয়নে ৫-৭টা কেন্দ্র করে এসব টিকা দেয়া হবে। ১৪ হাজার কেন্দ্রে একযোগে টিকা দেয়া হবে। টিকা নিতে দৌড়াতে হবে না, সরকারি লোকজনই পৌঁছে যাবে।

দোকাদিনপাট, ফাইল ছবি

টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে বয়স্কদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে জানিয়ে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বাসের হেলপার, শ্রমিকসহ সবাইকে টিকা নিতে হবে। টিকা ছাড়া কেউ কর্মস্থলে যেতে পারবে না, টিকার সার্টিফিকেট থাকতে হবে সবার। টিকা দিলে ওয়েবসাইটে তথ্য থাকবে, সেখানে যাচাই করলেও দেখা যাবে।

গত ৩০ জুলাই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে আরোপিত লকডাউন আরো ১০ দিন বাড়ানোর সুপারিশ করে স্বাধ্য অধিদপ্তর। সংস্থাটির মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম ওই দিন সরকারকে এমন প্রস্তাব দেন। অন্যদিকে, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সুপারিশের বিষয়ে গত ৩১ জুলাই বলেছিলেন, বিষয়টি তাদের বিবেচনায় আছে।

করোনার বাড়বাড়ন্ত অবস্থার মধ্যেও ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৮ দিনের জন্য শিথিল করা হয়েছিল বিধিনিষেধ। এরপর গত ২৩ জুলাই থেকে চলছে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন, যা শেষ হবে আগামী ৫ আগস্ট।