করোনা উপসর্গে মৃত্যু: কবর জিয়ারত করায় হামলা, আহত ১০

করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া এক ব্যক্তির কবর জিয়ারতে স্বজনদের বাধার পরে হামলার ঘটনা ঘটেছে সিলেটের ওসমানীনগরে। এতে নারীসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন, যাদের ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে, গ্রেপ্তার হয়েছে একজন।

করোনায় মত ব্যক্তির দাফন, ফাইল ছবি

বিষয়টি নিশ্চিত করে আজ বৃহস্পতিবার ওসমানীনগর থানার ওসি শ্যামল বণিক জানান, গত ৩ আগস্ট ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার উসমানপুর ইউনিয়নের পড়িয়ারখাই গ্রামে। মামলার পর অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আসামি মাসুক মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, রায়না মিয়ার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী আব্দুল আহাদের দীর্ঘদিন ধরে মনোমালিন্য চলছে। রায়নার অসুস্থ মা তুলাউন নেছার করোনা পরীক্ষা করা হয় গত ২৯ জুলাই, সেদিন রাতেই মারা যান তিনি। পরদিন পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

সিলেট ওসমানীনগর, ফাইল ছবি

প্রচুর বৃষ্টিপাতে তুলাউন নেছার কবরের মাটি সরে যাওয়ায় মেরামত করতে স্বজনদের বাধা দেন আব্দুল মালেকের লোকজন। স্থানীয়ভাবে বৈঠক ডেকে রায়না মিয়ার বাড়ি ১৪ দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এটি অমান্য করলে অবস্থা বেগতিক হবে বলেও সতর্ক করে দেয়া হয়।

গত ২ আগস্ট মায়ের কবর জিয়ারত করতে যান রায়না মিয়া ও তার ভাই। এ সময় তাদের বাধা দেন আব্দুল মালেকের লোকজন। পরদিন সন্ধ্যায় রায়নার ছেলে ইকবাল হোসেন বাজারে গেলে হামলা চালানো হয়। এতে ইকবাল মারাত্মক আহত হন, তাকে উদ্ধার করতে গেলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান মালেকের লোকজন।

এ ঘটনায় আহতরা হলেন- মামলার বাদী ইকবাল আহমদ (১৯), সুরমান আলী (৩০), হীরা মিয়া (৫৪), রায়না মিয়া (৫৬) ও হেলাল মিয়া (৩৫)। দ্বিতীয় দফার আক্রমণে আহত হন- আনছার মিয়া (৫৫), দয়ারুন বেগম (৬০), সাকেরা খাতুন (৪৫), নাজমা বেগম (৪০) ও জেসমিন বেগম (৪৫)। তাদের মধ্যে সুরমান, হীরা ও আনছার সিলেটের এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, বাকীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন উপজেলা হাসপাতালে।