শনিবার থেকে ক্যাম্পেইন, টিকা পাবে ৩২ লাখ মানুষ

আগামীকাল শনিবার (৭ আগস্ট) থেকে শুরু হচ্ছে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন। দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধের অংশ হিসেবে নেওয়া এই ক্যাম্পেইনে ৩২ লাখ মানুষকে কোভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকা দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম আজ শুক্রবার এসব তথ্য জানিয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম

রাজধানীর মহাখালীর বিসিপিএস প্রাঙ্গণে দেশব্যাপী কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি। ৭ আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত সিটি করপোরেশন, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও বিভিন্ন অঞ্চল ভেদে চলবে এই বিশেষ ক্যাম্পেইন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি বলেন, সাধারণত কোনো ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম সুনির্দিষ্টভাবে প্রদানের ক্ষেত্রে পরিকল্পনা করা সম্ভব হয় না। তবে আমরা আমাদের সক্ষমতা অনুযায়ী পরিকল্পনা তৈরি করেছি। দেশে টিকার ঘাটতি রয়েছে, তবে সবাইকে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার বদ্ধপরিকর। এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১ কোটি ৯৯ হাজারের বেশি মানুষ।

বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি, ফাইল ছবি

তিনি আরো বলেন, সরকার টিকার জন্য বৈশ্বিক কর্মসূচি কোভ্যাক্স ও বিভিন্ন টিকা উৎপাদনকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। দেশেও যাতে টিকা উৎপাদন করা যায়, সে ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হচ্ছে। সকল প্রকার নেতিবাচক চিন্তা ও কুসংস্কার পরিহার করে সবাইকে টিকা গ্রহণের মাধ্যমে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান ডা. খুরশীদ আলম।

টিকা ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যের ডিজি বলেন, সারাবিশ্বেই টিকা কেন্দ্রিক রাজনীতি রয়েছে। দেশে ইতোমধ্যেই টিকা প্রয়োগের পরিমাণ বেড়ে গেছে। গত ১০ দিনে ৩০ লাখ টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে। ভ্যাকসিন নিয়ে বড় ধরনের ক্যাম্পেইন করতে না পারলে বিশাল এই জনগোষ্ঠীকে কাভার করা যাবে না। আমাদের কাছে এটা একটি পাইলট প্রজেক্ট। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা আগামী দিনের জন্য শিক্ষা নেব।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, এমআইএস পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান, ইপিআই কর্মসূচির ব্যবস্থাপক ডা. মওলা বক্স চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।