আপনি পড়ছেন

আফগানিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়ায় পাকিস্তান তার কার্যকর ভূমিকা পালন করবে, এমনটা উল্লেখ করে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেছেন, এই দেশটিতে শান্তি রক্ষার দায় সবার। যৌথ এ দায়িত্ব থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সরে যেতে পারে না। এ বিষয়ে পাকিস্তানের দিকে আঙ্গুল না তোলারও আহ্বান জানান তিনি। খবর দ্যা ডন।

pak fm qurashiপাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি

সোমবার (৯ আগস্ট) ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেন, আফগানিস্তানের ভেতরে-বাইরে থাকা শান্তি বিনষ্টকারীদের ব্যাপারে পাকিস্তান বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এমন কিছু পক্ষ আছে, যারা আফগানিস্তানের শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায় না বরং তারা ক্ষমতার উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে স্থায়ী করার জন্য পাকিস্তানকে একটি স্যান্ডউইচ অবস্থানে দেখতে চায়।

কুরেশি বলেন, পাকিস্তান বারবার বলছে, আমাদের দিকে আঙ্গুল না তুলে বরং যদি সমস্যা থাকে, তাহলে তা উত্থাপন করুন, আলোচনা করুন এবং আসুন এর একটি সমাধান বের করি। পাকিস্তানকে অনর্থক দোষারোপ করা থেকে আফগানিস্তানকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পাকিস্তানের সাথে সংযুক্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

taleban peace agreementতালেবানকে শান্তি আলোচনায় নিয়ে আসে পাকিস্তান

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বারবার বলেছি, আফগানিস্তানে আমাদের কোনো পছন্দ নেই। সংঘাতের সব পক্ষকে আমরা আফগান হিসেবেই দেখি। অন্যের ব্যর্থতার জন্য পাকিস্তানকে বলির পাঁঠা করা দুর্ভাগ্যজনক। আফগান শান্তি প্রক্রিয়ার সহায়ক হিসেবে আমাদের ভূমিকা ছিল এবং থাকবে।

আফগানিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়া একটি সংকটময় অবস্থানে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ অবস্থায় তাদের নিজস্ব একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, বিস্তৃত এবং ব্যাপকভিত্তিক রাজনৈতিক সমঝোতার দিকে লক্ষ্য থাকা উচিত।

তিনি বলেন, আফগানদের উচিত নিজেদের ভবিষ্যতের ব্যাপারে নিজেদেরই সিদ্ধান্ত নেয়া। পাকিস্তান অনেক আগে থেকেই বলে আসছিল, এ সংঘাতের কোনো সামরিক সমাধান নেই এবং একটি রাজনৈতিক সমঝোতাই এ সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ, যাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন সম্মত হয়েছে।

কুরেশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সবসময় আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সমাধানের কথা বলতেন এবং আমি খুশি যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন এ পথেই এগিয়ে যেতে চাইছে।

এ সময় তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ২০১৯ সালে তালেবানকে আলোচনার টেবিলে আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল ইসলামাবাদ। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে দোহায় যুক্তরাষ্ট্র-তালেবান শান্তি চুক্তির ক্ষেত্রেও পাকিস্তানের বড় অবদান রয়েছে। একই বছরের সেপ্টেম্বরে পাকিস্তান আন্তঃ আফগান আলোচনায় সাহায্য করে এবং ২০২০ সালের ডিসেম্বরে পক্ষগুলোর সমঝোতা পদ্ধতি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অবদান রাখে।

এছাড়া আন্তঃ আফগান আলোচনা এবং দোহা প্রক্রিয়াকে সহজতর করার জন্য পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন- এই ট্রইকাতেও যোগ দেয়।

পাকিস্তান কখনোই সামরিক অধিগ্রহণের সমর্থক ছিল না উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে কুরেশি বলেন, আফগানিস্তানের সংঘাতের ফলে পাকিস্তান একটি বিশাল মূল্য দিয়েছে। আমাদের প্রায় ৮০ হাজার নাগরিক হতাহত হয়েছে। আমরা ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় বলেন, পাকিস্তান আফগানিস্তান থেকে সুশৃঙ্খলভাবে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিল। কারণ যখন সেনা প্রত্যাহার করা হচ্ছে তখন এটি এমনভাবে হতে হবে যাতে আফগানিস্তানের মধ্যে কোনো শূন্যতার সৃষ্টি না হয়। শূন্যতা থাকলে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো এর মাধ্যমে বড় ধরনের সুবিধা পাবে। সেনা প্রত্যাহারের পাশাপাশি আলোচনারও একটি প্রক্রিয়া থাকা উচিত, যা একসাথে চলবে।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.