ইমরান খান: ‘সবুজ পাকিস্তান’র কেবল শুরু

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান লাহোরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘মিয়াওয়াকি শহুরে বন’ উদ্বোধন করেছেন। সবুজ পাকিস্তানের জন্য তার সরকারের রূপকল্প বাস্তবায়নে গৃহীত পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সোমবার (৯ আগস্ট) এই বন উদ্বোধনের সময় তিনি বলেন, এতো কেবল শুরু। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন এই বন ১০০টি খালের ওপর গড়ে ওঠেছে এবং এতে প্রায় এক লাখ ৬৫ হাজার গাছ থাকবে। মিয়াওয়াকি কৌশল ব্যবস্থাপনার কারণে এই বনের গাছপালা সাধারণ গাছপালার তুলনায় ১০ গুণ দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। এই ব্যবস্থাপনার অধীনে বিশেষভাবে জমি প্রস্তুত করায় গাছের দ্রুত বৃদ্ধি হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সবুজ পাকিস্তানের অংশ হিসেবে দেশটির সরকার সেখানে ১ হাজার কোটি গাছ লাগানোর প্রকল্প হাতে নিয়েছে।

মিয়াওয়াকি বনের উদ্বোধন উপলক্ষে দেয়া বক্তৃতায় ইমরান খান জোর দিয়ে বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পাকিস্তান তার সাধ্যাতীত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব কমাতে পূর্ণ অবদান রেখেছে। তিনি বলেন, মিয়াওয়াকি বন দ্রুতগতিতে কার্বন নিঃসরণ বন্ধ করবে, যা পরবর্তী সময়ে পরিবেশে কার্বনের ক্ষতিকর প্রভাবকে উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেবে।

মিয়াওয়াকি বনের উদ্বোধন করেন ইমরান খান

তিনি উল্লেখ করেন, স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সারা দেশে মাত্র ৬৪ কোটি গাছ লাগানো হয়েছিল। কিন্তু ২০১৩ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে আমরা কেবল খাইবার পাখতুনখোয়াতেই ১০০ কোটি গাছ লাগিয়েছি। এখন আমাদের লক্ষ্য এক হাজার কোটি গাছ লাগানো।

এ সময় তিনি দুঃখের সাথে বলেন, একসময় লাহোর দেশের অন্যতম পরিষ্কার শহর ছিল, কিন্তু এখন সেটা পাকিস্তানের সবচেয়ে দূষিত শহরে পরিণত হয়েছে। সুতরাং আমরা আবার শুরু করেছি। এবং আমরা যা করেছি, তা কেবল শুরু। লাহোরের বিভিন্ন এলাকায় এরকম আরো ৫৩টি মিয়াওয়াকি বন গড়ে তোলা হবে। কার্বনের আধিক্য রোধ করে শহরের দূষণ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে এ পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে।

বক্তব্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী দেশটির প্রতিটি নাগরিককে অন্তত একটি করে গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, লাগানো গাছের রক্ষণাবেক্ষণও নিশ্চিত করতে হবে। সকল নাগরিক বিশেষ করে ছাত্রদের এ বিষয়ে গুরুত্বের সাথে এগিয়ে আসা উচিত।