ধানমন্ডি ৩২ ও বনানী কবরস্থানে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

আজ ১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস। এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে এবং পরে বনানী কবরস্থানে স্বজনদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সেনাবাহিনীর কয়েকজন বিপথগামী সদস্য স্বাধীনতার স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে।

সকাল ৬টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় সেখানে কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। ২০ মিনিট পর পৌঁছান বনানী কবরস্থানে। সেখানে মা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, ভাই শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেলসহ ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের নিহতদের সমাধিতে ফুল দেন প্রধানমন্ত্রী।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম এই শাহাদত বার্ষিকী জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করছে। গত বছরের মতো এবারও করোনার কারণে সামাজিক তথা শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শোক দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

ধানমন্ডির বাসভবনে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোররাতে সেনাবাহিনীর বিপথগামী সদস্যরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ওই সময় ঘাতকরা শুধু জাতির পিতাকেই নয়, বরং পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজনকে হত্যা করে।

হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন- বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা, বঙ্গবন্ধুর তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল।

তালিকায় আরও রয়েছেন- পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল এবং বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবি ও সুকান্তবাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিল। ওই সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।