বাইডেন: ঝামেলা করলে তালেবানের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকেই তাদের দেশ রক্ষা করতে হবে। তারা যদি তা না পারে তাহলে আফগানে মার্কিন সেনা আরও পাঁচ বছর থাকলেও পরিস্থিতি বদলাবে না।

জো বাইডেন

‘আজীবন কোনো দেশে মার্কিন সেনাবাহিনী থাকবে, এটা আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।’ গতকাল শনিবার হোয়াইট হাউজের দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে বাইডেন সতর্ক করেন, সেনা প্রত্যাহার ও দূতাবাস খালি করার সময় যদি তালেবান কোনোরকম হামলার চেষ্টা করে তাহলে শক্তভাবে প্রতিহত করা হবে। বাইডেনের এ ঘোষণা এমন সময় এল যখন তালেবান কাবুলের পাশের প্রাদেশিক রাজধানী জালালাবাদ শহর দখল করে নিয়েছে।

তালেবান

বিবৃতিতে তিনি আফগানের মার্কিন মিশনকে নিরাপদে প্রস্থানের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে অতিরিক্ত সৈন্য পাঠানোর বিষয়টি ব্যক্ত করেন। সেখানে তিনি তালেবানকে কোনো হুমকির পরিবেশ না সৃষ্টির জন্যও আহ্বান জানান।

আফগানিস্তান থেকে মিশন চূড়ান্তভাবে প্রত্যাহারের বিষয়ে মার্কিন নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে পরামর্শ করেছেন বাইডেন। দূতাবাসের জনশক্তি ও সর্বশেষ সৈন্যদের ফিরিয়ে আনতে নতুন করে আরও ৩ হাজার সৈন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দেশটি ত্যাগ করার সময় নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য এসব সেনা পাঠানো হচ্ছে।

বাইডেন ও আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি

বাইডেন সেনা প্রতাহারের ব্যাপারে নিজ সিদ্ধান্তকেই আবারও প্রাধান্য দিয়ে বলেন, ওই অঞ্চলে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারে যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করা হবে।

শনিবার হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, আমেরিকা ২০ বছর আগে আফগানিস্তানে সেনা পাঠিয়েছিল পেন্টাগনে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে। আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের নিহত হওয়ার মধ্য দিয়ে সেই মিশন শেষ হয়েছে।

‘১০ বছর পর ক্ষমতা পেয়ে আমি দেখলাম এখনও আফগানে আমাদের কিছু সেনা বিপদজ্জনক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে।’

বাইডেন বলেন, আমরা আফগানিস্তানে সবচেয়ে আত্মপ্রত্যয়ী তরুণ-তরুণীদের পাঠিয়েছিলাম। এক ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করেছি, ৩ লাখ আফগান সেনা ও পুলিশকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। তাদের সামরিক অস্ত্র সরঞ্জামও দিয়েছি। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ যুদ্ধে আফগান বিমানবাহিনীকেও আমরা সহায়তা দিয়েছি।

যুক্তরাষ্ট্রের আফগান পলিসির ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে বাইডেন বলেন, আফগানিস্তানে আমেরিকান সেনাদের প্রতিনিধিত্বকারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি চতুর্থ। চারজনের মধ্যে আমরা দুজন রিপাবলিকান ও দুজন ডেমোক্র্যাট। আমি এ কাজে পঞ্চম কোনো প্রেসিডেন্টকে চাই না।