বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান-এমডির বিরুদ্ধে মানহানি মামলা

জাতীয় সংসদের হুইপ ও চট্টগ্রাম-১২ আসনের (পটিয়া) সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান শাহ আলম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর এবং বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজামসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করেছেন।

আহমেদ আকবর সোবহান শাহ আলম এবং সায়েম সোবহান আনভীর

পটিয়ার যুগ্ম জেলা জজ মোহাম্মদ আবদুল কাদেরের আদালতে আজ বুধবার মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। পটিয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট দীপক কুমার শীল এদিন সামশুল হকের পক্ষে মামলাটি রুজু করেন। পরে গণমাধ্যমকে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন এই আইনজীবী।

অ্যাডভোকেট দীপক কুমার শীল বলেন, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছেন। বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন সংবাদ মাধ্যম জাতীয় সংসদের হুইপ এবং তার ছেলের বিরুদ্ধে একের পর এক ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক সংবাদ পরিবেশন করে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মামলার বিবাদীরা হলেন— বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান শাহ আলম, ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীর, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক এবং নিউজ ২৪ এর প্রধান নির্বাহী (সিইও) নঈম নিজাম, দৈনিক কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, ইংরেজি দৈনিক ডেইলি সান সম্পাদক ইনামুল হক চৌধুরী, অনলাইন পোর্টাল বাংলানিউজের সম্পাদক জুয়েল মাজহার, বাংলাদেশ প্রতিদিনের রিপোর্টার সাইদুর রহমান রিমন, রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, মোহাম্মদ সেলিম এবং কালের কণ্ঠের রিপোর্টার এস এম রানা।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন গণমাধ্যম বাংলাদেশ প্রতিদিন, ডেইলি সান, কালের কণ্ঠ, বাংলানিউজ এবং নিউজ ২৪ জাতীয় সংসদের হুইপ ও পটিয়ার সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী এবং তার ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুনের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করে আসছিল। বিবাদীরা পরস্পর যোগসাজশে মিথ্যা প্রচারিত ও প্রকাশিত সংবাদ দ্বারা বাদী ও বাদীর পরিবারের মানহানি ঘটিয়েছেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

এজাহারে আরো বলা হয়েছে, বসুন্ধরা গ্রুপের উল্লিখিত সংবাদ মাধ্যমে ১০০টির বেশি মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর সামাজিক ও রাজনৈতিক সম্মানহানি হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের শারীরিক, মানসিক এবং আর্থিক ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।

একাধারে মিথ্যা ও মানহানিকর সংবাদ প্রকাশের বিরুদ্ধে মামলার বাদী আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন এবং ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের করেছেন বলেও মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।