আমিরাতে ১০ দিনের জন্য আশ্রয় পাবে ৫ হাজার আফগান

তালেবান কর্তৃক কাবুল নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর দেশত্যাগ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে অনেক আফগান। কিন্তু কোনো দেশই সেই অর্থে তাদেরকে আশ্রয় দিতে রাজি নয়। শুধু যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য কিছু আফগানকে আশ্রয় দিয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এবার যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে সংযুক্ত আরব আমিরাত ৫ হাজার আফগানকে আশ্রয় দিতে সম্মত হয়েছে। তবে সেটা মাত্র ১০ দিনের জন্য।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল শুক্রবার (২০ আগস্ট) এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেয়। সেখানে বলা হয়েছে, মার্কিন বিমানে করে ৫ হাজার আফগান আমিরাতে আসতে পারবে। তবে তারা ১০ দিনের বেশি থাকতে পারবে না। এই সময়ের মধ্যে তৃতীয় কোনো দেশকে বসবাসের জন্য বেছে নিতে হবে।

আফগানিস্তানে এখন সবচেয়ে বেশি সংকটে তারাই, যারা দোভাষী হিসেবে কিংবা নানাভাবে বিদেশি সৈন্যদের সঙ্গে কাজ করেছেন। তালেবানরা তাদের ওপর চড়াও হতে পারে, এমন আশঙ্কা তাদেরকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। তাই দেশত্যাগ করার জন্য তারা মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছেন।

আফগানিস্তান এখন তালেবানের নিয়ন্ত্রণে

এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র কয়েক ধাপে কিছু আফগানকে নিয়ে গেছে। অন্যদিকে ২০ হাজার আফগানকে আশ্রয় দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। তবে তাদের সেই ঘোষণা কবে থেকে কার্যক্রর করা হবে, সে ব্যাপারে কিছুই বলা হয়নি।

আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণ না করলেও তালেবানের হাতেই এখন আফগানিস্তানের শাসন। এ অবস্থায় অনেক দেশ সেখানে থাকা তাদের দূতাবাস গুটিয়ে নিচ্ছে। কোনো কোনো দেশ আবার সম্পূর্ণ গুটিয়ে না নিয়ে দূতাবাস কিংবা মিশনের পরিধি ছোট করে আনছে। দূতাবাসের কার্যক্রম বন্ধ করা হলেও কর্মীদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে নিতেই বিপাকে পড়ছে দেশগুলো।

তালেবান কর্তৃক রাজধানীর কাবুল দখল করার পর পঞ্চম দিন অতিবাহিত হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে অধিকাংশ দেশই দূতাবাস গুটিয়ে নিয়েছে। পূর্ণাঙ্গভাবে এই মুহূর্তে তিনটি দেশের দূতাবাস আছে আফগানিস্তানে। সেগুলো হলো- রাশিয়া, চীন ও পাকিস্তান। এছাড়া কিছু দেশ বেশিরভাগ কর্মীদের তুলে নিয়ে সীমিত আকারে কার্যক্রম চালানোর ঘোষণা দিয়েছে।