তালেবান: সরকার বিষয়ে শিগগিরই ঘোষণা

আফগানিস্তানে সরকার গঠনের ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তালেবান। তবে কিছু ছোটখাট প্রতিবন্ধকতার কারণে বিলম্ব হচ্ছে। তারপরও যেহেতু এর কারণে প্রাত্যহিক কাজকর্ম এবং বাণিজ্য ও কূটনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে, তাই তালেবান যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরকার গঠনে তাদের সমস্ত প্রচেষ্টা নিয়োজিত করেছে। এ বিষয়ে শিগগিরই ঘোষণা দেয়া হবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। খবর- আলজাজিরা ও জিও টিভি।

তালেবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ

শনিবার রাতে পাকিস্তানের জিও নিউজের ‘জিরগা’ শিরোনামের এক অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকারে তালেবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ এসব কথা জানান। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন সেলিম সাফি।

মুজাহিদ বলেন, তালেবানের জন্য হঠাৎ করে কাবুলে ঢোকা এবং এ রকমভাবে শাসনভার গ্রহণ করার বিষয়টি অপ্রত্যাশিত ছিল। তারপরও আমরা একটি সরকার গঠনের বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা করতে চাই, যাতে একটি শক্তিশালী সরকার গঠন করা যায়। তিনি বলেন, আমরা এ বিষয়ে যথেষ্ট এগিয়েছি, কিন্তু এখনো কাজ চলমান আছে।

সরকার গঠনের বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে তালেবান, ফাইল ছবি

তালেবান মুখপাত্র বলেন, একটি সরকারের সবগুলো দিক নিয়ে আলোচনা চলছে। এ ব্যাপারে তালেবান কর্তৃপক্ষ কিছুদিনের মধ্যেই ঘোষণা দেবে। তবে এরই মধ্যে তালেবান বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে লোক নিয়োগ দিয়েছে।

অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারের ব্যাপারে তালেবানের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে এ মুখপাত্র বলেন, বিভিন্নজনের সাথে আলোচনা করা হচ্ছে, তাদের পরামর্শ নেয়া হচ্ছে। কারণ তালেবান চায়, যাদেরকে আফগান জনগণ সমর্থন করে, তাদেরকে সরকারে অন্তর্ভুক্ত করতে। পাশাপাশি যারা সমস্যা সৃষ্টি করে তাদেরকে এড়িয়ে চলবে তালেবান। তিনি বলেন, কাবুলে উপস্থিত নেতাদের সাথে পরামর্শ করছি। আমরা তাদের সাথে যোগাযোগ করছি এবং তাদের সুপারিশ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি তালেবান চায়, নতুন কিছু মুখও সরকারের অংশ হোক।

আলোচিত নেতৃবৃন্দের ব্যাপারে তালেবানের দৃষ্টিভঙ্গি কী হবে জানতে চাইলে জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, শুধু জনপ্রিয় হলেই চলবে না, বরং যারা জনপ্রিয়তাকে উপভোগ করে, জনগণের জন্য কাজ করে, জনপ্রতিনিধি হওয়ার যোগ্য, আমরা সরকারে কেবল এমন লোকদেরই অন্তর্ভুক্ত করতে চাই। তবে এর অর্থ এই নয়, অতীতের সব নেতাকে সরিয়ে দেয়া হবে। আমরা নিয়মিত তাদের সাথে আলোচনা করবো, তাদের পরামর্শ নেব।

ওই সাক্ষাৎকারে ইসলামাবাদের মাথাব্যথা তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি পাকিস্তান সরকারকে সমাধান করতে হবে, আফগানিস্তানকে নয়। এটি পুরোপুরি পাকিস্তানের ওপর নির্ভর করে। তারা এর বৈধতা বা অবৈধতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। এক্ষেত্রে আমাদের তেমন কিছু করার নেই।