তালেবানের সঙ্গে সমঝোতা চান দোস্তামসহ প্রভাবশালী নেতারা!

আফগানিস্তানের সিনিয়র রাজনৈতিক নেতাদের একটি গ্রুপ তালেবানের সঙ্গে সমঝোতায় আসছে বলে এক খবরে জানাচ্ছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এসব নেতার মধ্যে রয়েছেন ঘানি সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী ও উপজাতীয় নেতা আবদুল রশিদ দোস্তাম এবং বালখ প্রদেশের সাবেক গভর্নর আতা মোহাম্মদ নূর। আগামী সপ্তাহেই তারা তালেবানের সঙ্গে দেখা করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এসব নেতা চাচ্ছেন তালেবানের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে আসন্ন নতুন সরকারে অংশ নিতে।

অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনে সবার সঙ্গে আলোচনা করছে তালেবান

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বালখ প্রদেশের সাবেক গভর্নর আতা মোহাম্মাদ নূরের ছেলে খালিদ নূর এ বিষয়ে বলছেন, গ্রুপটি তালেবানের বিজয় ঠেকাতে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছিলেন। রয়টার্সের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার এক সাক্ষাৎকারে ২৭ বছর বয়সী খালিদ নূর বলছেন, আমরা সমষ্টিগতভাবে তালেবানের সঙ্গে একটি সমঝোতার পথ খুঁজছি। কারণ একজনের পক্ষে আফগান জনগণের জন্য কিছু করা কঠিন।

তিনি বলেন, দেশ গঠনে সাবেক নেতাদের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা মনে করি। বিশেষ করে, যেসব নেতা জনগণের কাছে জনপ্রিয় ছিলেন এবং তারা জনগণের জন্য কিছু করার ক্ষমতা রাখেন। খবরে বলা হচ্ছে, আতা মোহাম্মদ নূর এবং আবদুল রশিদ দোস্তাম যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানে ৪০ বছর ধরে কাজ করেছেন। আফগান রাজনীতিতে তাদের অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। তালেবান মাজার-ই-শরীফ দখল করে নিলে তারা দুজনই প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ না নিয়ে স্থলপথে উজবেক সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে যান। পরে ১৫ আগস্ট তালেবান কাবুল দখল করতে সমর্থ হয়।

কাবুলের রাস্তায় তালেবান যোদ্ধাদের টহল

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আফগানিস্তানের প্রভাবশালী উপজাতীয় নেতাদের এই সমঝোতার খবর আফগান রাজনীতিতে নতুন কিছুর ইঙ্গিত দেয়। উপজাতীয় নেতাদের সঙ্গে সমঝোতা ছাড়া কোনো সরকারের পক্ষে আফগানিস্তান পরিচালনা করা কঠিন।

খালিদ নূর বলছেন, উপজাতীয় প্রভাবশালী নেতাদের বাদ দিয়ে তালেবান ভাল কিছু করতে পারবে না। তবে গ্রুপটির পক্ষে তালেবানের সঙ্গে আলোচনা ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন সফল করা খুবই কঠিন হবে। কারণ তারা কখনই তালেবানের কাছে আত্মসমর্পণের ঘোষণা দেবেন না।