আপনি পড়ছেন

আফগানিস্তানে শান্তি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে তালেবান, উল্লেখ করে তালেবান হাক্কানি নেটওয়ার্কের একজন সিনিয়র নেতা বলেছেন, আফগানিস্তান ইসলামিক আমিরাত কর্তৃক ঘোষিত সাধারণ ক্ষমা রাজনীতিবিদ ও কর্মীসহ সবার জন্য। তালেবান এই প্রক্রিয়ায় যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তাই এখন আমরা ভাই হত্যার প্রতিশোধও নিতে চাই না।

khalil haqqaniবক্তব্য রাখছেন খলিল হাক্কানি

গতকাল শনিবার কাবুলে শান্তি মন্ত্রণালয়ের এক বিশাল সমাবেশে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা মোল্লা হাইবাতুল্লাহ আখুনজাদার বিশেষ প্রতিনিধি হাজি খলিল হাক্কানি বলেন, ‘আমাদের সাথে যোগ দিন, আমাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর পরিবর্তে আমাদের হাতকে শক্তিশালী করুন।’ এ সময় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সেনা, আইন প্রণেতা এবং গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীরা।

খলিল হাক্কানি বলেন, ভয়ের পরিবেশ দূর করতে আমরা পুনর্মিলন প্রক্রিয়া শুরু করেছি। তাই যারা আমাদের ভাইদের হত্যা করেছে তাদের প্রতিশোধও আমরা চাই না। আমরা কখনোই এ ক্ষমা প্রত্যাখ্যান করব না। কখনোই আমাদের প্রতিশ্রুতি থেকে বিরত হব না। তালেবান বিশ্বের সাথে, বিশেষ করে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক চায়। এ সময় তিনি ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করে বলেন, শিগগিরই সীমান্তে পাকিস্তানের সাথে সমস্যাগুলো সমাধান করা হবে।

peace hallশান্তি মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে অংশ নেন অনেকেই

এ সময় মার্কিন প্রশাসনের সমালোচনা করে হাক্কানি বলেন, তারা আফগানিস্তান থেকে যাওয়ার সময়ও বিশৃঙ্খলা তৈরি করে গেছে। মার্কিন কর্মকর্তারা দুঃখ পেয়েছেন, কারণ তারা যে আফগান বাহিনীকে প্রস্তুত করেছিল, প্রশিক্ষণ দিয়েছিল, অস্ত্র দিয়েছিল- তারা তালেবানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্যর্থ হয়েছে।

কিন্তু তারা কীভাবে আশা করেছিল, যে সরকার তাদের কয়েক দশক ধরে নির্যাতন করছিল, তাদের পক্ষে তারা অস্ত্র ধরবে, লড়াই করবে? তারা দুর্নীতির মাধ্যমে আফগানিস্তানকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করে নিজের জনগণের কাছেই তাকে ঘৃণ্য করে তুলতে চেয়েছিল।

হাক্কানি বলেন, সাধারণ জনগণ আমাদের সমর্থন করেছে, কারণ তারা দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের ওপর বিরক্ত ছিল। এ কারণেই আমরা কোনো বড় ধরনের প্রতিরোধ ছাড়াই ১০ দিনের মধ্যে পুরো দেশ পুনরায় জয় করেছি।

মার্কিন দখলদার বাহিনীর কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা আফগানদের কুকুরের চেয়েও নিকৃষ্ট বলে মনে করত। তাদের অন্ধ কুঠরিতে আফগানরা চরম নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তাদেরকে সেখানে মরে যাওয়া ও পঁচে যাওয়ার জন্য ফেলে রাখা হতো। তিনি বলেন, অবশেষে আল্লাহর রহমতে আমরা তাদের পরাজিত করেছি এবং এখন আমাদের দেশে ইসলামী শরীয়াহ প্রতিষ্ঠিত হবে।

নতুন আফগান শাসন ব্যবস্থায় কোনো দায়িত্ব বা পদ থাকবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমিসহ আমরা যারা আছি, তারা কোনো দায়িত্ব পাওয়ার জন্য দৌড়াচ্ছি না। আমরা কোনো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি না। আমরা শুধু আমাদের দেশে ইসলামী শরীয়াহ প্রতিষ্ঠিত দেখতে চাই। আর আফগানদেরও নিশ্চিত হওয়া উচিত যে, আমরা কেবল তাদের সেবা করতে চাই।ৎ

দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.