কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় নিয়ন্ত্রণ চায় জাতিসংঘ

জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি বিক্রি ও ব্যবহার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়া এ প্রযুক্তি ব্যবহার নিষিদ্ধ করা জরুরি।

মিশেল ব্যাচলেট, ফাইল ছবি

কমিশনের চেয়ারম্যান মিশেল ব্যাচলেট ‘ডিজিটাল যুগে গোপনীয়তার অধিকার’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন, যা তিনি আগামী ২২ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ৪৮তম অধিবেশনে উপস্থাপন করবেন। তিনি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলতে না পারা ‘এআই’ অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। 

মিশেল ব্যাচেলেট বলেন, এআই প্রযুক্তির দ্রুত ও ক্রমাগত বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে কীভাবে তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও ব্যবহার করা হয়, তার মধ্যে বিশাল জবাবদিহিতার গ্যাপ রয়েছে। এই গ্যাপ পূরণ করা আমাদের সবচেয়ে জরুরি মানবাধিকার প্রশ্নগুলোর মধ্যে একটি। যদিও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভাল কাজের শক্তি হতে পারে, সমাজকে আমাদের সময়ের কিছু বড় চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে সাহায্য করে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, প্রতীকী ছবি

তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, কিছু এআই প্রযুক্তি নেতিবাচক, এমনকি বিপর্যয়কর হতে পারে। যদি সেগুলো মানুষের মানবাধিকারকে কীভাবে প্রভাবিত করে সে সম্পর্কে পর্যাপ্ত বিবেচনা না করে ব্যবহার করা হয়। এক সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের থিম্যাটিক এনগেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক পেগি হিকস বলেন, ব্যক্তিগত তথ্যসহ বিশ্ব সংক্রান্ত বড় ডেটা সেটের অধিকাংশই এখন এআই প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল।

এআই প্রযুক্তিতে এমন কিছু বিষয় রয়েছে, যা মানুষের সম্পর্কে অনুমান বা ভবিষ্যতের আচরণের পূর্বাভাস দেওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্যের দিকে নিয়ে যেতে পারে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থার বিষয়ে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে উল্লেখ করে হিকস বলেন, এআইয়ের ব্যবহার নির্দিষ্ট কোনো দেশ বা কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণ করে না। তবে মানবাধিকারের ক্ষেত্রে কীভাবে প্রভাব ফেলছে সে বিষয়টি মনিটরিং করা যেতে পারে।

মিশেল ব্যাচলেট তার বিবৃতিতে আরও বলেন, এআই প্রযুক্তি মানবাধিকারের জন্য যত বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে, ততই এটি ব্যবহারের জন্য আইনি প্রয়োজনীয়তা আরও কঠোর হবে। বিশ্বের দেশগুলো পৃথকভাবে এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের ঝুঁকি মূল্যায়ন করতে পারে ও সম্ভাব্য উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবহারের উপর স্থগিতাদেশও দিতে পারে।

সূত্র: আনাদোলু