সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও সমর্থন কমল পুতিনের

স্টেট ডুমার নির্বাচনে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রেখেছে রাশিয়ার ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টি। তবে এক-পঞ্চমাংশ সমর্থন হারিয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দল। নির্বাচনের আংশিক ফলাফলে এ চিত্র উঠে এসেছে। বলা হচ্ছে, সমর্থন হারানোর পেছনে কাজ করেছে পুতিনের সমালোচকদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দমন-পীড়ন। এনটিডির খবর।

৩৩ শতাংশ ভোট গণনার পর কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন বলেছে, ইউনাইটেড রাশিয়া তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ে ৪৫ শতাংশ বেশি সমর্থন পেয়েছে। আর কমিউনিস্ট পার্টি পেয়েছে ২২ শতাংশ ভোট। আংশিক ফলাফলে দেখা গেছে কমিউনিস্ট পার্টি দ্বিতীয় স্থানে, জাতীয়তাবাদী এলডিপিআর পার্টি প্রায় ৯ শতাংশ সমর্থন পেয়েছে। তবে উভয় দলই সাধারণত ক্রেমলিনের সমর্থক।

খবরে বলা হচ্ছে, যদিও এটি পুতিনের জন্য বড় জয়, তারপরও ২০১৬ সালের পার্লামেন্টারি নির্বাচনের তুলনায় এই জয় দুর্বল। ওই নির্বাচনে দলটি ৫৪ শতাংশের বেশি সমর্থন পেয়েছিল। ক্রেমলিনের সমালোচক আলেক্সি নাভালনির বছরের পর বছর ধরে পুতিনের বিরুদ্ধে সমালোচনা ও দুর্নীতির অভিযোগ নির্বাচনে প্রভাব ফেলেছে। নাভালনির সমর্থকদের কৌশলগত ভোট প্রচারণা আরও ক্ষতি করেছে পুতিনকে।

সমালোচকরা বলছেন, পুতিনের দলের অবস্থান আগের চেয়ে খারাপ হওয়া মানেই বিষয়টি পুতিনের জন্য লজ্জাজনক। সুষ্ঠু প্রতিযোগিতায় তার অবস্থান আরও খারাপ হতে পারে। কারণ নাভালনির আন্দোলনকে নিষিদ্ধ করা, তার সমর্থকদের বাধা দেওয়া, মিডিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া ইত্যাদি কোনো ভাল ফলাফল বয়ে আনতে পারে না।

নির্বাচনের ফলাপলে রাজনৈতিক দৃশ্যপট পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। পুতিন ১৯৯৯ সাল থেকে রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় রয়েছেন। পরবর্তী ২০২৪ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগ পর্যন্ত নিজের আধিপত্য থাকবে পুতিনের। তবে তিনি এখনও বলেননি ওই নির্বাচনে তিনি অংশ নেবেন কিনা।

গত স্টেট ডুমার নির্বাচনে ৪৫০ আসনের তিন চতুর্থাংশ সমর্থন পেয়েছিল পুতিনে দল। এই আধিপত্য ক্রেমলিনকে সাংবিধানিক পরিবর্তন পাস করতে সহায়তা করেছিল যা ২০২৪ সালের পরে পুতিনকে রাষ্ট্রপতি হিসাবে আরও দুটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেয়। এজন্যই মনে করা হয় পুতিন সম্ভবত ২০৩৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে পারবেন।