জাতিসংঘে উত্তেজনা, কোরীয় উপদ্বীপে যুদ্ধ থামবে না!

কোরীয় উপদ্বীপে যুদ্ধ থামার লক্ষণ নেই। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে দুই কোরিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধের সমাপ্তির আহ্বান জানানো হয়েছে। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার এ আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে উত্তর কোরিয়া। তাদের বক্তব্য, পিয়ংইয়ংয়ের প্রতি মার্কিন বৈরী নীতির অবসান না হলে দুই কোরিয়ার যুদ্ধ থামবে না। দ্য নিউ ডেইলি, দ্য ডিপলোম্যাট।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ভাষণে কোরীয় যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তির আহ্বান জানান। দুই কোরিয়ার মধ্যে ১৯৫০-১৯৫৩ সালের যুদ্ধ শেষ হলেও মূলত যুদ্ধবিরতির নাম দিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে তারা।

জাতিসংঘে দেয়া ভাষণে মুন বলেন, আমি কোরীয় উপদ্বীপে যুদ্ধ শেষ করার জন্য একটি ঘোষণার প্রস্তাব আগেও দিয়েছিলাম। যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা কোরিয়ান উপদ্বীপে ‘পুনর্মিলন ও সহযোগিতার’ একটি নতুন পরিবেশ তৈরি করবে।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন এবং উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন

তবে উত্তর কোরিয়ার ভাইস পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি থাই সং দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএতে বলেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার (ডিপিআরকে) আশেপাশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকবে এবং মার্কিন শত্রুতার নীতি পরিবর্তন না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত কিছুই পরিবর্তন হবে না।

অবশ্য কোরীয় উপদ্বীপের পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে ও শাস্তি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাইডেন প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের বৈরী নীতি প্রত্যাহারকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জাতিসংঘের অধিবেশনে ভাষণে বলেন, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ঘিরে সংকট সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র ‘টেকসই কূটনীতি’ চায়।

জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষক দলের প্রধান চলতি সপ্তাহে এক বক্তব্যে বলেন, পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোদমে এগিয়ে যাচ্ছে। উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া গত সপ্তাহে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। যেখানে অস্ত্র প্রতিযোগিতা সমাপ্ত হওয়ার কথা, সেখানে উভয় দেশ আলোচনা শুরুর নিরর্থক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং ক্রমবর্ধমান অত্যাধুনিক অস্ত্রের মহড়ায় লিপ্ত হয়েছে।