পাকিস্তান সীমান্তে আফগানদের আর্তনাদ

আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যকার চামান-স্পিন বোলডাক সীমান্ত এখন বন্ধ। সীমান্তে কড়া পাহারায় রয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। এই কঠোর অবস্থানের কারণে পাকিস্তান প্রবেশে ইচ্ছুক অসহায় হাজার হাজার আফগান নাগরিক খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদের দাবি, পাকিস্তান সীমান্ত খুলে দিয়ে তাদের উদ্ধার করা হোক। যুদ্ধবিধ্বস্ত এসব আফগান নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের চিৎকারে বাতাস ভারি হয়ে উঠছে।

আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যকার চামান-স্পিন বোলডাক সীমান্ত

রাশিয়াভিত্তিক স্ফটুনিকের খবরে বলা হচ্ছে, প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানে প্রবেশের অনুমতি পাওয়ার জন্য হাজার হাজার আফগান বেসামরিক নাগরিক ও পরিবার চামান সীমান্তে জড়ো হয়েছে। তারা প্রতিনিয়ত নানা বিপদ ও সংকটের মধ্যে দিনতিপাত করছে। পাকিস্তান সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার কারণে সেখানে বিরাজ করছে উত্তেজনা। আতঙ্কে রয়েছে আটকে পড়া আফগান নাগরিকরা।

নিউইয়র্ক টাইমসকে ভুক্তভোগী আফগান নাগরিক মোহাম্মদ সাদিক সাবেরি বলছেন- নারী, শিশু ও রোগীরা দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করছে পাকিস্তানে প্রবেশের জন্য। কিন্তু গেট খোলা হচ্ছে না। তালেবান ক্ষমতা দখলের পর থেকেই আফগান নাগরিকদের একটা অংশ পাকিস্তান সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করে।

কাবুল দখলে নেওয়ার পর স্পিন বোলডাক সীমান্তে তালেবান সদস্যরা

তারা তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করতে চায়। কিন্তু শরণার্থী ঠেকাতে পাকিস্তান গেট বন্ধ করে দিয়েছে। হাজারো আফগান নাগরিক সেখানে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

জাতিসংঘের তথ্যমতে, গত আগস্টের মাঝামাঝি থেকে আফগানিস্তান ইসলামিক আমিরাত কায়েম হওয়ার পর ১০ হাজার শরণার্থী পাকিস্তানে প্রবেশ করে। এখন পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ নতুন আফগান শরণার্থীদের প্রবেশের অনুমতি দিতে অনিচ্ছুক। একারণে আহত আফগানদের বিশাল জনতা সীমান্ত গেটে নিদারুণ যন্ত্রণা নিয়ে কাঁদছে।

মোহাম্মদ সাদিক সাবেরির বক্তব্য মতে, সমস্যা সৃষ্টি করছে পাকিস্তান। কান্দাহারবাসীকে পাকিস্তানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার কথা ছিল। বিনিময়ে চামান ও কোয়েটা থেকে মানুষ জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে আফগানিস্তানে প্রবেশ করত।

কিন্তু সংঘর্ষের আশঙ্কায় সীমান্তটি বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির সেনাবাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। মনে হচ্ছে তারা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।