এন্নাহদার নেতৃত্বে মাঠে নামছে ‘নাগরিক ফ্রন্ট’

তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা দখলের প্রতিবাদ ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে নতুন জোট ‘নাগরিক ফ্রন্ট’ মাঠে নামছে। এই জোট তিউনিসিয়ার সব রাজনৈতিক দল মিলে করা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির রাজনৈদিক দল এন্নাহদার প্রধান ও পার্লামেন্টের স্পিকার রাশিদ ঘানুচির উপদেষ্টা আহমেদ গালুল। তিনি আল কুদস আল আরাবিয়ায় এক সাক্ষাৎকারে এই জোট গঠনের ঘোষণা দেন।

আহমেদ গালুল

সাক্ষাৎকারে গালুল বলেন, আমরা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি, প্রচেষ্টা এবং কর্মসূচিকে একত্রিত করার জন্য সকল রাজনৈতিক ও নাগরিক অংশীদারদের সাথে যোগাযোগ করছি। নাগরিকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং আরব বসন্তের মাধ্যমে যে মর্যাদা তিউনিসিয়া অর্জন করেছিল তা রক্ষা করতে হবে। এটি তিউনিসিয়ার জনগণের অধিকার।

রাষ্ট্রপতি কাইস সাঈদের ডিক্রি জারি ও ক্ষমতা দখলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে তিউনিসিয়ায় রাজনৈতিক উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। গালুল বলছেন, প্রেসিডেন্ট কর্তৃক ঘোষিত বিধান একটি অবৈধ অভ্যুত্থান। দেশের রাজনৈতিক ও বেসামরিক বাহিনীর সঙ্গে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান মোকাবেলায় একটি ‘নাগরিক ফ্রন্ট’ গঠনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করছে এন্নাহদা।

রাষ্ট্রপতি কাইস সাঈদ

গালুল বলেন, প্রেসিডেন্ট সাঈদ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা সংসদের কর্তৃত্বকে প্রভাবিত করে না। কারণ একটি আদেশের মাধ্যমে নির্বাচনী বৈধতা প্রত্যাহার করা যায় না। সংসদ সদস্যদের দেশের যেকোনো স্থানে দেখা করার এবং রাজনৈতিক সংকটের অবসানের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে। আমরা রাজনৈতিক সঙ্কটের অবসান চেয়েছিলাম, কিন্তু প্রেসিডেন্ট নতুন আদেশ জারির মাধ্যমে পুরোপুরি আস্থা হারিয়েছেন।

গালুল বলেন, প্রেসিডেন্ট যা ঘোষণা করেছেন তা স্পষ্টভাবে সংবিধান ও আইনের বাইরে দেশকে চালিত করছে। তিউনিশিয়ানরা এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে, যা জনপ্রিয় বৈধতার নামে জবরদস্তিমূলক। এই পদক্ষেপটি একটি অবৈধ অভ্যুত্থান এবং সাংবিধানিক বৈধতা থেকে সরে যাওয়ার নামান্তর।

তিনি বলেন, এন্নাহদা দেশের রাজনৈতিক এবং নাগরিক সঙ্কট মোকাবেলায় সর্বদা নিয়োজিত। এটি তিউনিসিয়ায় গণতন্ত্রের জন্য আসন্ন বিপদের মোকাবেলা করবে। প্রেসিডেন্টের নতুন ঘোষণা কেবল হুমকি নয়, এটি নাগরিক স্বাধীনতা, মর্যাদা, এমনকি রুটি-রুজির পরিপন্থী। নতুন নাগরিক ফ্রন্ট এই সংকট মোকাবেলায় মাঠে নামবে।