কুর্দিস্তানে শান্তি সম্মেলন ঘিরে তোলপাড়

ইরাকের সায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তানের রাজধানী ইরবিলে ইসরাইলের সঙ্গে শান্তি সংক্রান্ত একটি সম্মেলনে ক্ষেপেছে দেশটি। ওই সম্মেলন থেকে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে আরব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে সম্মেলনের নিন্দা জানিয়েছে ইরাকের ফেডারেল সরকার। ২৪ সেপ্টেম্বর সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।

কুর্দিস্তানের রাজধানী ইরবিলে অনুষ্ঠিত শান্তি সম্মেলন

সম্মেলনে অংশ নেন বিশিষ্ট শিয়া ও সুন্নি নেতারা। বলা হচ্ছে, বাইডেন প্রশাসন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে ইসরাইলের সম্পর্ক বৃদ্ধির পায়তারায় লিপ্ত। বাইডেন প্রশাসন চায় আমিরাত ও বাহরাইনের মতো আরব দেশগুলো ইসরায়েলে সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করুক। ইসরায়েলি ন্যাশনাল নিউজ আরতুজ শেভা সেভেন এ খবর দিয়েছে।

ইসরায়েলি আরেক নিউজ পোর্টাল আইটুয়েন্টিফোর নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন থিংক ট্যাঙ্ক সেন্টার ফর পিস কমিউনিকেশনস (সিপিসি) আয়োজিত ওই সম্মেলনকে ‘অবৈধ সভা’ হিসেবে বাতিল ঘোষণা করেছে ইরাক। সম্মেলনে ইরাকি জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে কেউ অংশ নেয়নি বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়। খোদ ইরাকের প্রেসিডেন্ট বারহাম সালেহের কার্যালয়ও সম্মেলনের নিন্দা জানিয়েছে। প্রেসিডেন্ট নিজেও একজন কুর্দি।

মুক্তাদা আল সদর

সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সবাইকে গ্রেপ্তার করা আহ্বান জানিয়েছেন প্রভাবশালী শিয়া নেতা মুক্তাদা আল সদর। সাবেক আধাসামরিক গোষ্ঠী হাশেদ আল-শাবির এমপি আহমেদ আসাদি সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের ‘আইনের চোখে বিশ্বাসঘাতক’ বলে অভিহিত করেছেন।

ওই সম্মেলনে ইরাকি সেনাবাহিনীর নেতা ও সাবেক জেনারেলরা ইরাককে ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডস’-এ যোগ দেওয়ার দাবি করেন, যে চুক্তিটি গতবছর ইসরাইলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইন স্বাক্ষর করেছে। যদিও আব্রাহাম চুক্তি সম্পন্ন হয়েছিল সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগ।

তবে তা বাইডেন প্রশাসনও সমর্থন করে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন দায়িত্ব নেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই বলেছিলেন, বাইডেন প্রশাসন আব্রাহাম চুক্তি সমর্থন করে। কুদিস্তানের ওই সম্মেলনটি বেশ কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্কে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।

এতে ইসরায়েলের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শিমন পেরেসের ছেলে কেমি পেরেস হিব্রু ভাষায় বক্তব্য দেন। অপর একটি প্রতিবেদনে ইঙ্গিত করা হয়েছে , বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করতে আরা আরব দেশকে উৎসাহিত করার পরিকল্পনা করেছে। এতে বোঝা যায়, ইসরায়েল প্রশ্নে মার্কিন ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান ব্লক একই পন্থা অবলম্বন করে।