পাকিস্তানে ইসলামী বিপ্লবের হুমকি তালেবানপন্থী নেতার

পাকিস্তানে ইসলামী বিপ্লবের হুমকি দিয়েছেন তালেবানপন্থী একজন নেতা। তিনি খোলাখুলিভাবে পাকিস্তানে ইসলামী বিপ্লবের আহ্বান জানিয়েছেন। তালেবানপন্থী ওই নেতার নাম মাওলানা আবদুল আজিজ, যিনি হিংসাত্মক বক্তব্যের জন্য পরিচিত। সম্প্রতি তিনি বলেছেন, তালেবানের উত্থান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকেই হয়েছে। কাবুল টাইমস।

পাকিস্তানের তালেবানপন্থী নেতা মাওলানা আবদুল আজিজ

আজিজকে উদ্ধৃত করে নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, পুরো বিশ্ব দেখেছে তালেবান আমেরিকা এবং তার অহংকারী শক্তিকে পরাজিত করেছে। পাকিস্তানে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের সংগ্রামে এটি অবশ্যই ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আমাদের সাফল্য আল্লাহর হাতে।

পত্রিকাটি বলছে, পাকিস্তানের মাদরাসাগুলো ইসলামী সশস্ত্র সংগঠন প্রতিপালন করে আসছে। মাদরাসায় প্রশিক্ষিত সশস্ত্র এসব গোষ্ঠী এখন ভারত ও পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোকে টার্গেট করেছে।

পাকিস্তানের মাদরাসায় উড়ছে তালেবানের পতাকা

খবরে বলা হচ্ছে, পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত অঞ্চলের একটি মাদরাসায় গড়ে উঠেছিল তালেবান। এছাড়া এ ধরনের মাদরাসাগুলোকে কেন্দ্র করে লস্কর-ই-তায়্যিবা কিংবা ভারত বিরোধী সহিংস বিদ্রোহীরা দানা বেঁধেছিল। আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর তাদের নজর এখন পাকিস্তানের দিকে। এ ব্যাপারে প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠেছে লাল মসজিদ।

২০০৭ সালে এই লাল মসজিদকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী একটি অভিযান চালিয়েছিল। সেখানে অবস্থান করছিল সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা। মসজিদটি ঘিরে রয়েছে মহিলা মাদরাসা ও সেমিনার কমপ্লেক্স। তখন থেকেই মাওলানা আজিজ অসংখ্য ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন, তবে কখনও দোষী সাব্যস্ত হননি।

মাওলানা আজিজ এবং তার অনুসারীরা সরকারি আদেশ অমান্য করে লাল মসজিদ সংলগ্ন মাদরাসা জামিয়া হাফসার ছাদে তালেবানের পতাকা উড়িয়ে আসছিলেন। ১৮ সেপ্টেম্বর আশপাশের বাসিন্দাদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান শঙ্কার মধ্যে পুলিশ এলাকাটি ঘিরে ফেলে। পরে তালেবান পতাকা নামিয়ে ফেলা হয়।

পাকিস্তানের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, কাবুলে তালেবানদের দখল এই ধরনের চরমপন্থীদের নতুন করে ধর্মীয় যুদ্ধে উৎসাহিত করতে পারে।

তবে মাওলানা আজিজের অনুসারীরা তাদের তৎপরতা অস্বীকার করেছেন। তাদের বক্তব্য, তারা শুধু পাকিস্তানে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাবেন।

একজন মুসলিম জানান, পাকিস্তানের অধিকাংশ মানুষ তালেবানি পদ্ধতির অনুমোদন দেয় না। তবে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় আসায় মাওলানা আজিজ সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছেন। যেহেতু তার অবস্থান পাকিস্তানের রাজধানীতে।