চট্টগ্রামে অ্যামোনিয়া সিলিন্ডার লিকেজ: এখনো বাতাসে তীব্র গন্ধ

চট্টগ্রামের আনোয়ারার একটি সার কারখানায় অ্যামোনিয়া (NH₃) গ্যাসের সিলিন্ডার লিকেজের ঘটনাস্থলে এখনো পাওয়া যাচ্ছে তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধ। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট পানি ছিটিয়ে বাতাসে অ্যামোনিয়ার প্রভাব নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে যাচ্ছে।

ঘটনাস্থলের আশপাশে লোকজনের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে ফায়ার সার্ভিস। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘটনাস্থলে এখনো অন্তত ১০ ভাগ গ্যাস রয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

সোমবার রাতে অ্যামোনিয়াম সার কারখানায় ৫০০টন অ্যামোনিয়া গ্যাসের একটি সিলিন্ডার বিকট শব্দে ফেটে যায়। ফেটে যাওয়ার সময় সিলিন্ডারটিতে ২৫০ টন গ্যাস অবশিষ্ট ছিলো। এই ঘটনার পর ঘটনাস্থলের আশপাশের অন্তত ৫২ জনকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. তাপস দেবনাথ একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমকে বলেছিলেন যে, অ্যামোনিয়া বাতাসের চেয়ে হালকা। ফলে এটি বাতাসে বেশিক্ষণ থাকে না। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে অ্যামোনিয়া রঙবিহীন বাতাসের হালকা একটি গ্যাস।

ঘটনাস্থলের কাছের একটি পুকুরে মাছ মরে যাওয়ার দাবি করেছেন স্থানীয় একজন। তবে ঘটনাস্থলের উল্টো দিকে পুকুরের অংশে এ রকম কিছু দেখা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, অ্যামোনিয়ার প্রভাবেই ওই পুকুরের কিছু মাছ মরে যেতে পারে।

সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্ত করতে ১০ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবাল। গঠিত কমিটির প্রধান হিসেবে কাজ করবেন বিসিআইসির পরিচালক আলী আক্কাস। কমিটিতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিদ্যালয়ের অধ্যাপক, ফায়ার সার্ভিস, পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন এবং দুটি সার কারখানা কাফকো ও সিইউএফএলের প্রতিনিধিদের রাখা হয়েছে।

এই কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এর আগে সার কারখানার অন্যান্য সিলিন্ডার পরীক্ষা করে দেখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধ করতে করণীয় নির্ধারণের পরামর্শ চাওয়া হয়েছে।

আপনি আরো পড়তে পারেন

রিকশা চালান কর্মীরা, কাঁদলেন মির্জা ফখরুল

ফখরুল: সুন্দরবন ধ্বংস করে বিদ্যুৎকেন্দ্র কেন?

চট্টগ্রামের বাতাসে গ্যাস: শিগগিরই নিয়ন্ত্রণে আসবে নিঃসরণ

চট্টগ্রামের বাতাসে গ্যাস: আতঙ্কের কিছু নেই বলছেন বিশেষজ্ঞরা

বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু