জেমস বন্ডের হাতে আইফোন না থাকার কারণ

করোনার কারণে কয়েকবার পেছানো জেমস বন্ড সিরিজের নতুন সিনেমা ‘নো টাইম টু ডাই’ মুক্তি পেতে যাচ্ছে আগামী ৮ অক্টোবর। তুমুল জনপ্রিয় এই বন্ডের (ড্যানিয়েল ক্রেইগ) হাতে কেন স্মার্টফোনের জগতে সবচেয়ে দামী আইফোন থাকে না? কেন অ্যান্ড্রয়েড নির্ভর স্মার্টফোন ব্যবহার করেন তিনি? সেই গোপন রহস্য এবার জেনে নেয়া যাক।

জেমস বন্ডের হাতে অ্যান্ড্রয়েড ফোন, ফাইল ছবি

মুক্তির অপেক্ষায় থাকা সিনেমাটিতে জেমস বন্ডের হাতে দেখা যাবে নকিয়া কোম্পানির ৩৩১০, ৭.২ ও ৮.৩ ফাইভ-জি মোবাইলফোন। ফোন তিনটি যথাক্রমে ২০০০, ২০১৯ ও ২০২০ সালে বাজারে আসার কথা ছিল। যে কেউ ভাবতে পারেন, এসব মডেল এখন পুরনো মনে হলেও শুটিংয়ের সময় নতুন ফোন ছিল কিংবা পতনের মুখে থাকা নকিয়ার বিজ্ঞাপন এটি।

পুরনো মডেলের ফোন ব্যবহারে কোনো সমস্যা দেখছেন না সাইবার নিরাপত্তার ইমার্সিভ ল্যাবসের সিইও জেমস হ্যাডলি। তিনি বলেন, পুরোনো অ্যান্ড্রয়েড ফোন দেয়া হলে দেখতে হবে, নতুন সফটওয়্যারের ত্রুটি থেকে বাঁচতে সেটার অপারেটিং সিস্টেম আপডেট করা কিনা। সফটওয়্যারের কারণে অনেক মানুষ ‘আনস্মার্ট’ ফোন ব্যবহারে বিশ্বাসী। তাতে বন্ডের ইন্টারনেট নির্ভর অ্যাপগুলোর ব্যবহার সীমিত হয়ে যাবে, সেটিও চিন্তার বিষয়।

ড্যানিয়েল ক্রেইগ, ফাইল ছবি

সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ জেক মুর মনে করেন, জেমস বন্ডের জন্য সবশেষ প্রযুক্তির স্মার্টফোন হিসেবে ডাবল-ও সেভেন আইফোন ভালো অপশন নয়। কেননা, তার ফোনে অ্যান্টিসারভেইলেন্স, অ্যান্টি-ইন্টারসেপশন ও অবস্থান গোপন রাখার প্রযুক্তি থাকা দরকার। এসব সুবিধা আইফোনে নেই, আছে নোকিয়ার অ্যান্ড্রয়েড ফোনে।

তারা দুজনই বলছেন, বাস্তব জীবনেও সংবেদনশীল তথ্য নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সেজন্য সফটওয়্যারগুলো সব সময় আপডেট রাখা এবং অস্বাভাবিক কিছু চোখে পড়লেই খতিয়ে দেখার মতো সচেতন থাকা দরকার। এই দুই ক্ষেত্রে অ্যান্ড্রয়েড নির্ভর স্মার্টফোন সেরা অপশন বলেই মনে করা হয়।