মুখ্যমন্ত্রী মমতার ভূমিধস জয়

মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকা অবস্থায় নির্বাচন, তাই এটা ছিল মূলত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য ‘আত্মসম্মান রক্ষা’র বিষয়। বিশ্লেষকরা বলেছিলেন, শুধু জিতলে হবে না, বিশাল ব্যবধানে জিততে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। ফলাফল সেটাই হয়েছে। দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর আসনের উপনির্বাচনে মমতা ছিনিয়ে নিলেন ভূমিধস জয়। অর্থাৎ, তিনিই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী থাকছেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

নির্বাচন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম জানাচ্ছে, ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটের ব্যবধানে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে হারিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ রোববার সকালে ভোট গণনার শুরু থেকেই ব্যবধান স্পষ্ট হচ্ছিল। বেলা যত গড়িয়েছে, সেই ব্যবধান শুধু লম্বা হয়েছে। তাতে মমতার সম্মান নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকা তৃণমূল সমর্থকদের মুখেও হাসি ফুটেছে।

প্রসঙ্গত, ছয় মাস আগেই নির্বাচনে জিতে সরকার গঠন করেছে মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু হেরে গেছেন মমতা নিজে। এ অবস্থায় সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় নির্বাচনে জিতে আসতে হলো মমতা ব্যানার্জিকে। যদি তিনি কোনোভাবে হেরে যেতেন, তাহলে সেটা হতো মহা অঘটন। এমনটি তাতে দল হিসেবে তৃণমূলও ভয়াবহ সংকটের মুখে পড়তো বলে মন্তব্য বিশ্লেষকদের।

গত বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর আসনে জয়ী হয়েছিলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। পরে তিনি পদত্যাগ করলে আসনটি শূন্য হয়। ডাকা হয় উপনির্বাচন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মূলত মমতাকে ভবানীপুর থেকে জেতানোর লক্ষ্যেই শোভনদেব পদত্যাগ করেন। কারণ ওই এলাকাটি তৃণমূল কংগ্রেসের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।