ইরান-আজারবাইজান টানাপোড়েন, নেপথ্যে ইসরায়েল

আজারবাইজান ও ইরানের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। গত সপ্তাহে তেহরানের কাছে পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। তেহরান সম্ভাব্য হামলাকারী হিসেবে বাকুকে অভিযুক্ত করে। ইরানের আরও অভিযোগ, ইসরায়েলের পক্ষ নিয়েছে আজারবাইজান। এতে দুদেশের সম্পর্কে চিড় ধরেছে। ইরানের উদ্বেগ, ইসরায়েল এসব হামলায় আজারবাইজানে অবস্থিত তাদের ঘাঁটি ব্যবহার করছে।

ইরান-আজারবাইজান সীমান্ত

বুলগেরিয়ান মিলিটারি ডটকমের খবরে বলা হচ্ছে, সম্প্রতি ইরান এবং আজারবাইজানের মধ্যে সম্পর্কের তীব্র অবনতি হয়। তেহরান বাকুকে দোষারোপ করে এবং আজারবাইজান-ইরান সীমান্তে শত শত সাঁজোয়া ট্রাক, স্ব-চালিত হুইটজার এবং ট্যাঙ্ক পাঠায়। তেহরান এর মধ্যেই বাকুকে হুমকি দেয়, আজারবাইজানের ওপর ‘হাজারো হামলা’ হবে।

খবরে বলা হয়, তুরস্কের সহায়তায় কূটনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে ইরানের সামরিক-রাজনৈতিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাবে আজারবাইজান। এর মাধ্যমে বিশ্বের কাছে ইরানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। একইসঙ্গে ইরানি অস্ত্রের ব্র্যান্ডিং বন্ধ হবে। আঙ্কারাও বাকুকে প্রয়োজনীয় সব সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে। আজারবাইজানও এক ঘোষণায় তুরস্ককে সমর্থন করেছে।

আজারবাইজান ও তুরস্কের সেনাবাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্যে অনেকগুলো যৌথ কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক উদাহরণ হল- গত সেপ্টেম্বরে তুরস্ক-আজারবাইন বড় সামরিক মহড়ায় অংশ নেয়। যেখানে তুর্কি এফ-১৬ এবং আজারবাইজান এসইউ-২৫ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করা হয়। মড়ায় বিমান প্রতিরক্ষা ধ্বংসের ও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার প্রশিক্ষণ শেখানো হয়।

অপরদিকে, খবরে বলা হচ্ছে, ইসরাইলি একটি কৌশলগত ড্রোন ভূপাতিত করেছে ইরান। দেশটির সংবাদ সংস্থা আজারিহা নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে বুলগেরিয়ান মিলিটারি বলছে, তবে এটি কখন ও কোথায় ঘটেছে সে সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই।

আজারিহার সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ মোস্তফা হোশশাম এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বার বার আজারবাইজানের ঘাঁটি থেকে ইরানকে হামলার লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে। সম্প্রতি আমরা ইসরায়েলের চালকবিহীন একটি ড্রোন বিমানকে গুলি করে ভূপাতিত করেছি। সম্ভবত সেটি হার্মিস-৯০০ মডেলের ড্রোন।